আমেদাবাদ-লন্ডন এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট দুর্ঘটনার পর ফের একবার আন্তর্জাতিক বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং-এর তৈরি ‘৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’ মডেল নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। এদিন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া ওই বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পর এই মডেলের অতীত রেকর্ড এবং যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে ফের বিতর্ক দানা বাঁধছে।
২০০৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। সংস্থার দাবি ছিল, দুটি রোলস রয়েস ইঞ্জিন সম্বলিত এই বিমান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও জ্বালানি দক্ষতায় তৈরি। কিন্তু এর পরই একাধিকবার যান্ত্রিক ত্রুটি, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সমস্যা, হাইড্রলিক কার্যকারিতার ত্রুটি-সহ নানা অভিযোগ সামনে আসে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি প্রায় ১২ বছর পুরনো বলে জানা গিয়েছে। যদিও বোয়িং দাবি করে থাকে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা থাকলে এমন বিমান নিরাপদ। কিন্তু ২০০৯ সালে এই মডেলের প্রথম দুর্ঘটনার সময় মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল, যা প্রথমবার আতঙ্ক তৈরি করে।
বোয়িংয়ের আরেক মডেল ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেককে বোয়িং আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি এবং সুরক্ষা নকশা নিয়ে বারবার সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। এয়ারবাস ৩২০-এর প্রতিযোগী হিসেবে উঠে আসা ম্যাক্স-৮ মডেলেও একাধিকবার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
তবে তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বোয়িং-এর নিরাপত্তা পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, নির্মাণ মান, ইঞ্জিন ব্যবস্থাপনা এবং বৈদ্যুতিন অংশগুলির উপর আরও কড়া নজরদারি প্রয়োজন।
আমেদাবাদের দুর্ঘটনা শুধুই একটি বিমানের ভেঙে পড়া নয়, আন্তর্জাতিক বিমান নিরাপত্তা নীতির উপরই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিল বলে মনে করছেন অনেক বিমান বিশ্লেষক। এখন নজর তদন্ত রিপোর্ট এবং বোয়িং-এর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
আরও পড়ুন – বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার অমানবিকতা! কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে দরবার নিরাপত্তারক্ষীদের
_
_
_
_
_
_
_
_