রাজ্য পুলিশের(WB Police) রদবদল করা হল। বারাকপুরে(Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটে রদবদলের পর এবার বদলি করা হল মহেশতলার(Maheshtala) এসডিপিও(SDPO) এবং রবীন্দ্রনগর(Ravindranagar) থানার আইসিকে। একইসঙ্গে মালদহের রতুয়া থানার আইসিকেও বদলি করা হল। মহেশতলায় অশান্তির পরই এই রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ। পুলিশের(WB Police) তরফে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি। স্বাভাবিকভাবেই এই রদবদল নিয়ে রাজনৈতির মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একই দিনে মহেশতলার রবীন্দ্রনগর ও মালদহের রতুয়া থানার আইসি বদল করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহেশতলার এসডিপিও-কেও। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে(Mukul Mia) পাঠানো হয়েছে দার্জিলিংয়ে। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্রনগর থানার নতুন আইসি হচ্ছেন রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজনকুমার রায়। মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকে বদলি করা হয়েছে এসিপি থার্ড ব্যাটেলিয়ানে। মহেশতলা নতুন এসডিপিও হচ্ছেন রবীন্দ্রনগরের প্রাক্তন আইসি রেজাউল কবির।

মাত্র চার দিন আগে ৯ জুন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয়কুমার ঠাকুরকে বদলি করা হয়েছিল। কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় সিআইডি ডিআইজি পদে। বারাকপুরের নতুন কমিশনার হন মুরলীধর শর্মা। তিনি আইজিপি ট্রেনিংয়ে ছিলেন। এরপর মহেশতলা ও মালদহ পুলিশে রদবদল হল। গত বুধবার মহেশতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়। ওই অশান্তির পরই এই রদবদলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এটি রুটিন বদলি। পারিপার্শ্বিক ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–