২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকের আগেই বীরভূমের দুই হেভিওয়াট নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও কাজল শেখকে (Kajal Sekh) নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। আর সেই বৈঠকের পরেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা জানিয়ে দিলেন কুকথা সমর্থন করে তৃণমূল। সেই কারণে ঘটনার চারঘণ্টার মধ্যেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে অনুব্রতকে। যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে বাম জমানায় অনিল বসু, বিনয় কোঙারদের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের মত, সিপিএম এই ধরনের কুকথায় কোনও পদক্ষেপ করেনি।

শনিবার, মূল বৈঠক শুরু আগে, দুপুর ১২.৫৫ নাগাদ ভবানীপুরে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির অফিসে দলের বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) অনুব্রত ও কাজলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। ছিলেন অরূপ বিশ্বাস ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুত্রের খবর, অনুব্রত ও কাজলকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে মন্তব্য করার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। এদিনের বৈঠক থেকে অনুব্রতকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানান, অশালীন মন্তব্য কোনও ভাবেই সমর্থন করে না দল। এই নিয়ে আগেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, এর আগে অনিল বসু, বিনয় কোঙার বা কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা যখন অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তখন তো প্রশ্ন ওঠে না। যত প্রশ্ন সব কি তৃণমূলের জন্য!

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shobhandev Chatterjee) বলেন, প্রভাবশালী নেতা হওয়া সত্ত্বেও অনুব্রতকে দল ৪ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছে। তাঁকে নিয়ে যা সমালোচনা হয়েছে, তাতেই তাঁর যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, অনিল বসু যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, কোনও সভ্য মানুষ কী সেটা বলতে পারেন! তার দল কী পদক্ষেপ করেছিল। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো ওই ধরনের ভাষা কোনও ভাবেই সমর্থন করেন না। সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–