কারও গন্তব্য টাটা, কারও হোন্ডা, কেউ যাচ্ছেন ব্যাঙ্গালোর, তো কেউ দিল্লি। বেকারত্বের অন্ধকার সরিয়ে জীবনে নতুন আশার আলো নিয়ে এল চন্দননগরে অনুষ্ঠিত কর্মসংস্থান ও শিক্ষানবিশী মেলা। রাজ্য সরকারের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একাধিক যুবক-যুবতী এদিন চাকরির সুযোগ পেলেন বহু প্রতীক্ষিত বহুজাতিক সংস্থায়।

চন্দননগর মহিলা পলিটেকনিক কলেজ প্রাঙ্গণে রবিবার আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মহকুমাশাসক বিষ্ণু দাস, ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের আধিকারিকেরা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৩২টি সংস্থার প্রতিনিধি।

২০১৬ সাল থেকে রাজ্য সরকার ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে নানা বিষয়ে নিখরচায় প্রশিক্ষণ দিয়ে বেকার যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণের পর এবার চাকরি ও শিক্ষানবিশির সুযোগ করে দিতে আয়োজিত হয় এই কর্মমেলা। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ থেকে শুরু করে ৪৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রশিক্ষণার্থীরা মেলায় অংশ নিয়ে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ পান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি ও দায়বদ্ধতাতেই আজ এই যুবসমাজের কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত হয়েছে। আগে কেউ রাজ্যের বেকারদের কথা ভাবেনি। আজ বাংলার ছেলে-মেয়েরা বিশ্বজুড়ে নিজেদের প্রমাণ করেছে। সঠিক লক্ষ্যে এগোলে সাফল্য নিশ্চিত।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “শিক্ষা এমন একটি জিনিস যা অর্থ দিয়ে কেনা যায় না। আজকের দিনে যাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করেন, মাটির কাছাকাছি থাকেন, তাঁদের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।”

এই কর্মমেলায় চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশিক্ষণার্থীরা। এক কণ্ঠে তাঁদের বক্তব্য, “উৎকর্ষ বাংলা আমাদের স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি। এখন আমরা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। পরিবারকেও সাহায্য করতে পারছি। ধন্যবাদ রাজ্য সরকারকে এই সুযোগের জন্য।” এই উদ্যোগে যেমন বেকারত্বের হার কমছে, তেমনই গড়ে উঠছে দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী কর্মশক্তি— যা ভবিষ্যতের বাংলা গড়ার অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক মহল।

আরও পড়ুন – স্বস্তির বৃষ্টিই নিভিয়ে দিল প্রাণ! সিমলাগড়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু কিশোরের

_

_

_

_
_
_
_
_