আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই ফের নতুন করে যান্ত্রিক সমস্যায় জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। রবিবার দুপুরে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানবন্দরে কলকাতাগামী একটি বিমানে টেক-অফের ঠিক আগে ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি। নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে সঙ্গে টেক-অফ বন্ধ রেখে বিমানটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়।

বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উড্ডয়নের প্রস্তুতিকালে বিমানের যন্ত্রাংশে সমস্যা ধরা পড়ে। এরপরেই জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে উক্ত বিমানটি বাতিল করে অন্য একটি বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। উল্লেখযোগ্য, এই যাত্রা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শুরু হয়।

ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়তেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিমান ওড়ার আগে নির্ধারিত নিয়ম মেনে একাধিক স্তরের যান্ত্রিক পরীক্ষা করা হয়। হিন্ডনের এই ঘটনার ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—বিমান ছাড়ার আগে যদি এত স্তরের পরীক্ষা হয়, তা হলে বারবার এই যান্ত্রিক ত্রুটি কেন ধরা পড়ছে টেক-অফের ঠিক আগে? বিশেষ করে আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দেশজুড়ে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের ইঞ্জিন, হাইড্রোলিক সিস্টেম, সিগন্যালিং ও ককপিটের সমস্ত যন্ত্রপাতির প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে দেখা খুব জরুরি। সরকারি ও বেসরকারি—সব সংস্থাকেই এসওপি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে চলতে হয়।

এরপরেও কেন এমন বিভ্রাট? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যাত্রী, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মনে। আপাতত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এই বিভ্রাট সামাল দিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠালেও, যাত্রী-নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল এই ঘটনা।

আরও পড়ুন – শিখ পুলিশ আধিকারিকের মাথায় চটির কাট আউট! এফআইআর দায়ের সুকান্তর বিরুদ্ধে

_

_

_

_
_
_
_
_
_