শিখ পুলিশ আধিকারিকের মাথায় চটির কাট আউট! এফআইআর দায়ের সুকান্তর বিরুদ্ধে

Date:

Share post:

কখনও শিখ সম্প্রদায়কে খালিস্তানি বলে অপমান। কখনও চটি ছুড়ে অপমান। বিজেপির শীর্ষস্থানে নেতৃত্বদের থেকে যে অপমান বাংলা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ পেয়েছেন তারই বিরুদ্ধে বার বার তাঁরা সরব হয়েছেন। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি (BJP state president) সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিতে এফআইআর দায়ের করলেন শিখ সম্প্রদায়ের (Sikh community) নেতৃত্বে। সেই সঙ্গে সামাজিকভাবেও বিজেপির চরিত্রকে বুঝে নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হল।

ধর্মীয় বিভাজন করার বিজেপির উদ্দেশ্যকে বাংলার মানুষ চিরকাল প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। মহেশতলার অশান্তিতে ধর্মীয় উস্কানি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় পুলিশের নির্দেশে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন। ক্ষোভ প্রকাশে সেখান থেকেই চটির কাটআউট (cutout) ছোড়েন শিখ সম্প্রদায়ের পুলিশ আধিকারিকের উপর। এতেই প্রকাশিত হয় শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি কতটা ঘৃণা পোষণ করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

রবিবার সুকান্তর সেই চটিকান্ডের জেরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা দাবি করেন, প্রতিবার বিজেপির তরফ থেকে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের উপর যে ঘৃণা প্রকাশিত হয় তা কোনও কিছু স্তরের নয়, একেবারে বিরোধী দলনেতা বা রাজ্য সভাপতির মতো শীর্ষস্থানের নেতৃত্বদের থেকেই প্রকাশিত হয়েছে। সেদিন রাজ্য সভাপতি (BJP state president) প্রিজন ভ্যানে ঢুকে যান। পরে আবার বেরিয়ে এসে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চটি ছুড়ে মারেন। যা থেকে তাঁদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। এমনকি এরপরে ক্ষমাও চাননি তিনি।

বিজেপি যে ধর্মীয় বিভাজন বাংলায় শুরু করেছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বরাবর বাংলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করেন। সেই শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বিজেপি নেতাদের আচরণে। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তাঁদের আহ্বান, যেভাবে প্রশাসনিকভাবে তাঁদের দায়ের করা এফআইআর-এর (FIR) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেভাবেই যেন সাধারণ মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের পথে যায়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি (BJP state president) সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের এফআইআর দায়েরকে স্বাগত জানায় বাংলার শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবী করেন, শিখ সম্প্রদায় যদি আপত্তি বা নিন্দা করে থাকে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষকে ধর্ম দেখিয়ে, যাঁদের সম্মানের অন্যতম প্রতীক পাগড়ি তা লক্ষ্য করে তির্যক মন্তব্য বা রাজ্য সভাপতির জুতো ছুড়ে দেওয়া এবং তারপরে তাঁরা ক্ষমাও চান না।

spot_img

Related articles

আজ দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী 

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। বিপর্যয় মোকাবিলা (Disaster Management) থেকে উদ্ধারকাজে প্রশাসনের...

দিল্লিতে দূষণের থাবা! রাজধানীর বাতাসের গুণগতমান নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদরা

দিওয়ালি আসতে এখনও কয়েকটা দিন সময় হাতে রয়েছে, তার আগে শীতের হিমেল পরশ দোলা দিয়ে গেছে দিল্লিতে (Delhi...

দলীয় কর্মীর হাতে প্রিয়নেতার ট্যাটু: আপ্লুত অভিষেক বাকরুদ্ধ

ট্যাটু (Tattoo)। বাংলা নাম উল্কি। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রক্রিয়ায় মানুষ তার দেহে এঁকে রাখতে চায় কখনও নিজের নাম,...

রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে লক্ষ টাকা দান অভিষেকের, সকলকে এগিয়ে আসার আর্জি

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ ত্রাণ তহবিল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা (WBSDMA) তহবিলে দানের জন্য আবেদন...