Friday, August 22, 2025

শিখ পুলিশ আধিকারিকের মাথায় চটির কাট আউট! এফআইআর দায়ের সুকান্তর বিরুদ্ধে

Date:

কখনও শিখ সম্প্রদায়কে খালিস্তানি বলে অপমান। কখনও চটি ছুড়ে অপমান। বিজেপির শীর্ষস্থানে নেতৃত্বদের থেকে যে অপমান বাংলা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ পেয়েছেন তারই বিরুদ্ধে বার বার তাঁরা সরব হয়েছেন। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি (BJP state president) সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিতে এফআইআর দায়ের করলেন শিখ সম্প্রদায়ের (Sikh community) নেতৃত্বে। সেই সঙ্গে সামাজিকভাবেও বিজেপির চরিত্রকে বুঝে নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হল।

ধর্মীয় বিভাজন করার বিজেপির উদ্দেশ্যকে বাংলার মানুষ চিরকাল প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। মহেশতলার অশান্তিতে ধর্মীয় উস্কানি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় পুলিশের নির্দেশে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন। ক্ষোভ প্রকাশে সেখান থেকেই চটির কাটআউট (cutout) ছোড়েন শিখ সম্প্রদায়ের পুলিশ আধিকারিকের উপর। এতেই প্রকাশিত হয় শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি কতটা ঘৃণা পোষণ করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

রবিবার সুকান্তর সেই চটিকান্ডের জেরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা দাবি করেন, প্রতিবার বিজেপির তরফ থেকে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের উপর যে ঘৃণা প্রকাশিত হয় তা কোনও কিছু স্তরের নয়, একেবারে বিরোধী দলনেতা বা রাজ্য সভাপতির মতো শীর্ষস্থানের নেতৃত্বদের থেকেই প্রকাশিত হয়েছে। সেদিন রাজ্য সভাপতি (BJP state president) প্রিজন ভ্যানে ঢুকে যান। পরে আবার বেরিয়ে এসে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চটি ছুড়ে মারেন। যা থেকে তাঁদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। এমনকি এরপরে ক্ষমাও চাননি তিনি।

বিজেপি যে ধর্মীয় বিভাজন বাংলায় শুরু করেছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বরাবর বাংলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করেন। সেই শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বিজেপি নেতাদের আচরণে। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তাঁদের আহ্বান, যেভাবে প্রশাসনিকভাবে তাঁদের দায়ের করা এফআইআর-এর (FIR) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেভাবেই যেন সাধারণ মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের পথে যায়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি (BJP state president) সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের এফআইআর দায়েরকে স্বাগত জানায় বাংলার শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবী করেন, শিখ সম্প্রদায় যদি আপত্তি বা নিন্দা করে থাকে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষকে ধর্ম দেখিয়ে, যাঁদের সম্মানের অন্যতম প্রতীক পাগড়ি তা লক্ষ্য করে তির্যক মন্তব্য বা রাজ্য সভাপতির জুতো ছুড়ে দেওয়া এবং তারপরে তাঁরা ক্ষমাও চান না।

Related articles

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...

বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের আবেদনও খারিজ! আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের

ইতিহাসকে বিকৃত করার বিজেপি-আরএসএসের যৌথ পরিকল্পনায় চরম দুর্দশা বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। নরেন্দ্র মোদি মুখে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম নিলেও...

নতুন রঙ নতুন আনন্দ: বাংলার দুর্গাপুজোকে মোদির বন্দনায় কটাক্ষ তৃণমূলের

বাংলায় পুজো করতে গেলে আদালতের অনুমতি লাগে। প্রায় প্রতিদিন ছুটে ছুটে এসব প্রচার করে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা...

ইমান বেচলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী: শিখ সম্প্রদায়ের অপমানে নীরব রবনিতকে প্রশ্ন তৃণমূলের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনিত সিং বিট্টু  শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মানকে বাংলার বিজেপি নেতাদের সামনে বিক্রি করে দিলেন। নরেন্দ্র মোদির...
Exit mobile version