খিদিরপুরে পুড়ে যাওয়া বাজার নতুন করে তৈরি করে দেব রাজ্য। আপাতত সরকারের তরফে অস্থায়ী দোকান তৈরি করে দেওয়া হবে। সোমবার, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, যাঁদের দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে তাঁদের ১লাখ টাকা ও যাঁদের দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া করে দেওয়া হবে। তবে, সেটি অস্থায়ী দোকান (Shop) বসে যাওয়ার পরে দেওয়া হবে।
এদিন বিধানসভার অভিবেশন থেকে সোজা ঘটনাস্থলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বলেন, “এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে সার্ভে শুরু করা হয়নি। তদন্ত হবেই। কীভাবে আগুন লাগল, কটা দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হল, কার কার নামে দোকান ছিল সবটাই দেখা হবে।”
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন, “সিলিন্ডারগুলোকে মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জীবনও তো চলে যেতে পারত। এসি মেশিনও দেখতে হবে।“ এর পরেই তিনি জানান, “মার্কেট এখন সরাতে হবে। নতুন হবে। একটা জায়গা আমরা বেছে রেখেছিলাম, অন্য একটা কাজে, সেখানেই আপাতত বাজার সরানো হোক। সেখানে বাইরের কেউ আসবে না, এখানকার ব্যবসায়ীরাই আপাতত ব্যবসা করবেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তার আগে সার্ভে রিপোর্ট চাই। কাদের পুরো দোকান জ্বলে গিয়েছে, কাদের অর্ধেক সেটা দেখতে হবে। যাদের পুরো দোকান জ্বলে গিয়েছে, তাঁদের দোকান বানিয়ে দেওয়া হবে, ও ব্যবসার কাঁচামাল কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাদের অর্ধেক দোকান পুড়েছে, তাদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।“
এরপরেই উষ্মা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগুন যা লেগেছে তোমাদের নিজেদের গাফিলতির জন্য। এরপরেও সরকার নিজেদের খরচে মার্কেট বানিয়ে দেবে। সাময়িক ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তদন্ত হবে সম্পূর্ণ বিষয়টির। খুব তাড়াতাড়ি দোকান তৈরি করে দেওয়া হবে। আমরা সমব্যাথী। পাশে আমরা একটা জায়গা দেখেছি। ব্যবসায়ীদের কোন টাকা দিতে হবে না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাজার তৈরি করে দেওয়া হবে। সেখানে জল এবং অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা থাকবে।“
রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে খিদিরপুর বাজারে। খুব কম সময়েই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৩০০ টি দোকান। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। সোমবার ভোরেও কয়েকটি ‘পকেটে’ আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–