Monday, August 25, 2025

পাগড়িতে হাওয়াই চটির কাটআউট: চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন সুকান্ত

Date:

শিখ নিরাপত্তারক্ষীর পাগড়ি লক্ষ্য করে হাওয়াই চটির কাটআউট ছোড়ার ঘটনায় অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করে ক্ষমা চান তিনি। তাঁর সাফাই, “পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোড়া একটি প্ল্যাকার্ড দুর্ঘটনাবশত আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শিখ ধর্মাবলম্বী সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির উপর পড়ে।” আগে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল – মত তৃণমূলের।

বৃহস্পতিবার, নাটক করতে কালীঘাটে তুলসী বেদী দিতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। কিন্তু ঢোকার মুখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে ওঠার সময়, সুকান্ত মজুমদার একটি চটি-র কাট আউট ছুড়ে দেন কর্তব্যরত নিরাপত্তা আধিকারিকদের দিকে। আর সেটা গিয়ে লাগে পাগড়ি পরা এক আধিকারিকের মাথায় যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই নিয়ে প্রবল সামলোচনা হয়।

শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্তর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) তিনি লেখেন, “গত ১২ জুন, কলকাতার কালীঘাটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বাসভবনের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময়, কলকাতা পুলিশ আমাকে সহ বিজেপির অন্যান্য রাজ্য নেতৃবৃন্দ ও কার্য্যকর্তাদের আটক করে বলপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলে। সেই সময় উত্তেজনার মুহূর্তে, পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া একটি প্ল্যাকার্ড দুর্ঘটনাবশত আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শিখ ধর্মাবলম্বী সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির উপর পড়ে।
এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় যদি কোনও শিখ ভাই বা বোনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমি বিনম্রভাবে তাঁদের কাছে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কার্য্যকর্তা শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস, পবিত্র পাগড়ির মর্যাদা এবং তাঁদের গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল।”

এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, অনেক আগেই ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল। বিজেপির কাজই হল ধর্মীয় মেরুকরণ করা। ভিন্ন ধর্মের মানুষদের অপমান করা। এর আগে বিরোধী দলনেতা পাগড়ি বাঁধা পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলেন। সে বিষয়ে তিনি ক্ষমা চাননি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকেও অপমানজনক কথা বলেন। সে নিয়েও বিজেপি বা বিরোধী দল নেতা ক্ষমা চাননি। এটাই বিজেপির কালচার।
আরও খবরগোটা রাজ্যেই ঢুকল বর্ষা! জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version