ইরানে গিয়ে আটকে পড়েছেন দেগঙ্গার মোট ১১ জন বাসিন্দা উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের। অবশেষে সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্ত হলেন চিন্তিত পরিবার। ধর্মীয়স্থানে ভ্রমনে গিয়ে আটকে ৫ জন ও পড়াশুনা করতে গিয়ে আটকে ৬ জন। ওই পরিবারের আকুতি ইরানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার।

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢালিপাড়া থেকে তিনটি পরিবারে ৫ সদস্য সহ মোট ১১ জন গিয়েছেন ইরানের পড়াশুনা ও ধর্মীয়স্থান জিয়ারাত দর্শনে। কিন্তু হঠাৎ করেই ইরান ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তারা আটকে পড়েছেন। সঠিকভাবে মিলছে না জল, খাবার। শুধু তাই নয় সেখানকার পরিস্থিতি যে ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে তা টিভিতে চাক্ষুষ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। গত ১৭ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ইন্টারনেট পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন। ফলে, চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ঢালিপাড়ার এই পরিবারগুলি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢালিপাড়ার গফুর আলি গাঁয়েন ও তাঁর স্ত্রী সুকরান বিবি, সাহিদ আলি গাঁয়েন ও তাঁর স্ত্রী মুসলিমা বিবি এবং পড়শি আক্রাম হোসেনরা। গত ৩০ মে তাঁরা প্লেনে চড়ে গিয়েছিলেন ইরানে। ফেরার কথা ছিল ১৮ জুন। কিন্তু, হঠাৎ করেই সপ্তাহখানেক আগে শুরু হওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির দরুণ দুর্বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তিনটি পরিবারের ৫ সদস্য সহ ১১ জন। জল থেকে শুরু করে খাবার সব কিছুরই চূড়ান্ত সংকট তৈরি হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। মুর্হুতে মুর্হুতে বিস্ফোরণে আওয়াজ কার্যত দিশাহীন করে দিয়েছে প্রত্যেককেই। তাই, বাড়ি ফেরা কবে হবে তা এখনও অজানা প্রত্যেকের কাছে। আক্রাম তাঁর দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে ইরানে গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সালমা বিবি কার্যত দিশেহারা হয়ে বলেন, কিছুই চাই না আমি। আমার একটাই আকুতি রাজ্য সরকার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক। অন্যদিকে শাহিদ আলির ছেলে হোসেন মেহেদি হতাশার সুরে বলেন, বাবা-মা সহ পড়শি মোট পাঁচজন গিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় স্থানে। কিন্তু এখন এই অবস্থা। যোগাযোগও করতে পারছি না। আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই সরকারের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। একটাই আবেদন আমাদের এলাকার ১১ জনকেই সুস্থ অবস্থা বাড়ি ফিরিয়ে আনা হোক।

আরও পড়ুন – সহানুভূতি প্রকল্পে উপকৃত ৯,৩২২ জন, ৫ কোটি টাকারও বেশি বৃত্তি বিতরণ, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_