রাজ্য সরকারের ‘সহানুভূতি’ প্রকল্পে গত তিন অর্থবর্ষে ৯,৩২২ জন পড়ুয়া উপকৃত হয়েছেন বলে জানালেন জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৩,৪৩১ জন ছাত্রছাত্রীকে মোট ৫ কোটি ৫৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৭৪ টাকা বৃত্তি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এই প্রকল্প মূলত সরকারি ও সরকার-পোষিত হোমে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদের জন্য। বর্তমানে রাজ্যে ৭৪টি সরকারি হোম এবং ৭৪টি সরকার-সহায়তা প্রাপ্ত হোম রয়েছে।”

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যে ৭৪টি সরকারি ও ৮০টি সরকার-পোষিত বিশেষ বিদ্যালয় রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫৪টি স্কুলে প্রায় ১৫ হাজার বিশেষ পড়ুয়া পড়াশোনা করছে। এদের মধ্যে ৩,৪০০ জন ছাত্রছাত্রী সহানুভূতি স্কলারশিপে উপকৃত হয়েছে। বৃত্তির আর্থিক পরিমাণ ইতিমধ্যেই ৫ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে, জানান মন্ত্রী।

গ্রন্থাগার পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “২০১১ সালের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছায় এই দফতর অনেক বড় কাজ করেছে।” তিনি জানান, “এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজার দুষ্প্রাপ্য বই ডিজিটাইজ করা হয়েছে। এর ফলে বহু পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে।” আরও বই ডিজিটাইজ করে সহজলভ্য করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের স্কলারশিপ প্রকল্প এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্যোগ একদিকে যেমন পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসতে সাহায্য করছে, অন্যদিকে বাংলা ও ভারতের মূল্যবান সাহিত্য ও ইতিহাসকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার রাস্তাও প্রশস্ত করছে।সামগ্রিকভাবে, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে সহানুভূতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের এক ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবেই উঠে আসছে।

আরও পড়ুন – ডিভিসি-র জলছাড়ায় প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গ, নবান্নের জরুরি বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তলব মুখ্যসচিবের

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_