মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে এবার দুয়ারে রেশন মডেলে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথধামের মহাপ্রসাদ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নববারাকপুরে শুরু হল মহাপ্রসাদ বিতরণ কর্মসূচি, যার সূচনা হল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে।

নববারাকপুরের কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্বয়ং উপস্থিত থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহে মাল্যদান করেন এবং অঞ্চলবাসীর হাতে তুলে দেন প্রভুর ছবি সহ ক্ষীরের গজা ও প্যারা সন্দেশের প্যাকেট। পাশাপাশি চলল জগন্নাথের নাম সংকীর্তন। এক উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হল এই ১১ দিনব্যাপী মহাপ্রসাদ বিতরণ কর্মসূচি।

মন্ত্রী বলেন, “দুয়ারে রেশন ব্যবস্থার আদলে এবার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে জগন্নাথধামের মহাপ্রসাদ। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভাবনীয় ভাবনা বাংলার গর্ব।” তিনি আরও বলেন, “প্রভু জগন্নাথ সর্বজনীন। সর্ব ধর্মের মানুষ তাঁর দর্শনে দিঘায় যাচ্ছেন। যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে, মানুষ তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। ”

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস তৈরি করেছেন দিঘায় সর্ব ধর্মের মানুষের জন্য এমন এক মহামন্দির প্রতিষ্ঠা করে।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নববারাকপুর পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, রেশনিং অফিসার নবীন মন্ডল, দেব প্রসাদ রাহা, আইসি সুমিত কুমার বৈদ্য-সহ আরও বহু বিশিষ্টজন। নববারাকপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হল এক ভক্তিময় অধ্যায়, যা আগামী দিনগুলিতে আরও অনেক মানুষের কাছে জগন্নাথচেতনার বার্তা পৌঁছে দেবে, এমনটাই মনে করছেন আয়োজকরা।

আরও পড়ুন – ইরানে আটকে দেগঙ্গার ১১ বাসিন্দা! ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল পরিবার

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_