১০০ দিনের কাজের টাকা দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো মহিলাদের বেনজির আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার, বজ বজ(Budge Budge) হালদার পাড়ায় দলীয় কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুকান্ত। আর সেখানেই মহিলাদের ‘জেহাদি’ বলে অপমান করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল(TMC) নেতৃত্ব।
তাঁদের নির্দেশেই ১০০দিনে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সগর্বে একথা ঘোষণা করতেন বিজেপি নেতৃত্ব। এখন আদালতের নির্দেশ বাংলায় ১০০দিনের কাজ চালু করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে গত বছরগুলির বকেয়া দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন বজবজ যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া ও কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা টাকার দাবি করেন মহিলারা। সেই সঙ্গে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগানও দিতে থাকেন। মহিলারা কথা বলতে গেলে তাঁদেরকে জেহাদি আখ্যা দেন সুকান্ত।
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে লক্ষ্য করে চটি উড়ে আশে। পুলিশের ঘেরাটোপে কোনও ক্রমে পালান তিনি।
সুকান্তর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল(TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার(Kakali ghosh Dastidar) বলেন, বিজেপির এই নারী বিদ্বেষী মনোভাবের প্রতি ধিক্কার জানাই। আমরা আগেও দেখেছি, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করেছেন। বাংলার মহিলারা যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তাঁদের অপমান করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাংলার ন্যায্য পাওয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই কথা বলে গেলেই মহিলাদের জেহাদি বলা হয়েছে। এটা অত্যন্ত অবমানকার।
রাজ্যএ মন্ত্রী শশী পাঁজা(Shashi Panja) তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বিজেপির মন্ত্রী ভাষা, সংস্কার দেখুন! এঁরা মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুধু করে বাংলার মা-বোনদের অপমান করেন। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। বাংলার মহিলারা এর তীব্র বিরোধিতা করেবেন।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) বলেন, মানুষের পাওনা আটকে রেখেছে বিজেপি। ১০০দিনের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আদালতের রায়েই প্রমাণিত তৃণমূল যে দাবি জানিয়েছিল তা সঠিক। আর মুখ্যমন্ত্রী বকেয়া ফেরতেরও দাবি জানিয়েছেন। এখন বিজেপি প্রতি মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর সুকান্ত মজুমদার মা-বোনেদের জেহাদি বলছেন। তাঁর উচিৎ অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
–
–
–
–
–
–
–
–
–