আবারও মিথ্যা! মিথ্যাচারের নোংরা রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি(BJP)। চার দিন আগে ঘটা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানায(Jibantala Ps) এলাকায় এক নাবালিকার মৃত্যুকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে নাবালিকার ছবি দিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে। আর সেটা কে করছে? বিজেপির(BJP) আইটি সেলের সর্বোচ্চ নেতা অমিত মালব্য(Amit Malviya)। তিনি সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের মাধ্যমে। সেই ঘটনার প্রকৃত তথ্য ও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে বারুইপুর পুলিশ বিজেপি নেতার মুখোশ খুলে দিল।
বারইপুর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আসল ঘটনা। এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা মেনে তার বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য যথাযথ ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তদন্ত এবং ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, জীবনতলা থানায় এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। অজানা বিষ সেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকা। তদন্ত চলছে।
আর বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টায় উস্কানিমূলক পোস্ট করছেন। এই মর্মে মৃত নাবালিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকার ছবি দিয়ে লেখেন, ১৬ জুন রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এক তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং গণধর্ষণ করা হয়। এই বর্বরতা বিবেককে নাড়া দেয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর পর্যন্ত, যা ঘটেছে তা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা নিরাপদ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নারীদের নিরাপত্তা নেই। তিনি এ প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও দেন। লেখেন, নির্যাতিতা হিন্দু এবং অভিযুক্তরা মুসলিম। দোষীদের শাস্তির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কালবিলম্বের পদক্ষেপের আর্জি জানান। পুলিশ যথারীতি বিজেপি নেতার মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা সামনে আনে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–