নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি প্রয়োজনে পরবর্তীকালে ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনই (Election Commission of India)। এবার সেই কমিশনই ৪৫ দিন পরে সেই সব ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ জারি করল। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ফুটেজের (footage) ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ। অর্থাৎ কমিশন নিজেই স্পষ্ট করে দিল কমিশনের হাতে থাকা সংরক্ষিত ফুটেজের নাগাল পাওয়া সাধারণের কাছে কোনও সমস্যা নয়। সেক্ষেত্রে কমিশনের সংরক্ষণ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। চলতি সময়ে বিভিন্ন উপনির্বাচনও চলছে। সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সব রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের জন্য নির্দেশ জারি করল সব ধরনের সিসিটিভি, ওয়েব কাস্টিং, ভিডিও ফুটেজ (video footage) থেকে শুরু করে সব ধরনের ভিডিও ৪৫ দিন পরে মুছে ফেলতে হবে। তবে ফলাফল নিয়ে কোনও চ্যালেঞ্জ বা আদালতে মামলা চললে এই নিয়ম কার্যকর হবে না, জানানো হল নির্দেশিকায়।

এই নির্দেশের কারণ হিসাবে দেখানো হয়, বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) সেই সব নির্বাচনের ভিডিও-র অপব্যবহার দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই এমন ব্যক্তিরা সেই সব ফুটেজের অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কেন্দ্রের আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা তথ্য ফাঁস হয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, এই নির্দেশিকার পরে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–