ইরান -ইজরায়েল (Iran vs Israel) উত্তেজনা পরিস্থিতিতে প্রায় দুদশক পর সরাসরি ‘যুদ্ধে’ নামলো আমেরিকা (USA)। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্র (ইসফাহান, নাতাঞ্জ এবং ফোর্দো) গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর মার্কিন সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পাল্টা আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি দফতর।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, ‘‘এখন থেকে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিকই টার্গেট।’’ পাশাপাশি আমেরিকার করা হামলার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া ইরানের তরফ বলা হয়েছে, যে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা হয়েছে সেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর নেই, ফলে জনগণ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে। রবিবার ভোরে ইরানে আমেরিকা হামলা করার পর ইজরায়েলের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
ইরানে মার্কিন সেনার হামলায় খুশি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই ঘটনাকে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী সিদ্ধান্ত বলে ধাক্কা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় ইজরায়েল জানিয়েছে, আপাতত বাইরে থেকে কোনও বিমানের তাদের দেশে প্রবেশ এবং ইজরায়েল থেকে কোনও বিমানের বাইরে যাওয়া বন্ধ। কত দিনের জন্য তা বন্ধ থাকবে, সেটা অবশ্য জানানো হয়নি। অন্যদিকে ট্রাম্পের হুশিয়ারি, ‘‘ইরানকে শান্তিস্থাপন করতে হবে, নয়তো বিপর্যয় ঘটবে। গত আট দিনে আমরা যে বিপর্যয় দেখেছি, তার চেয়ে আরও অনেক বড় কিছু হবে। মনে রাখবেন, আরও অনেক ‘টার্গেট’ বাকি রয়েছে।” সব মিলিয়ে পরিস্থিতিতে যে যথেষ্ট উত্তেজনার দিকে এগোচ্ছে তা বলাইবাহুল্য। শেষ খবর অনুযায়ী ইরানের তরফে ইজরায়েলের উপর পাল্টা আক্রমণ শুরু। ইতিমধ্যেই চল্লিশটি মিসাইল হামলা করা হয়েছে। তেল আভিভসহ বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।