নারী নিরাপত্তায় বিজেপির আমলে গোটা দেশের চেহারাটা ঠিক কোথায় তা বারবার তুলে ধরেছে একমাত্র বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিশ্বমঞ্চে ভারতের নারীর সম্মান নিয়ে পর্দাফাঁস করল আমেরিকা (USA)। নিজেদের দেশের নাগরিকদের, বিশেষত মহিলাদের ভারতে ঘোরা নিয়ে সতর্ক করল মার্কিন প্রশাসন। অন্যদিকে যে মাওবাদী (Maoist) নিধন নিয়ে প্রতিদিন বুক ফুলিয়ে বেড়ান অমিত শাহ (Amit Shah), সেই মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে নিজের দেশের নাগরিকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও মনিপুরও যে কতটা অশান্তিপূর্ণ (crime prone) হয়ে রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মার্কিন পর্যটন নির্দেশিকায়।

মার্কিন নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে ভারতে বাড়ছে অপরাধ (crime) ও সন্ত্রাসবাদ (terrorism)। এই পরিস্থিতিতে যে ধরনের ভয় দেখানো হয়েছে আমেরিকার তরফে, তার মধ্যে প্রথম ধর্ষণের (rape) ঘটনা দ্রুত বেড়ে যাওয়া। পর্যটনস্থলে যৌন নিগ্রহের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলা বাড়ছে যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পর্যটনস্থান, পরিবহন কেন্দ্র, বাজার বা শপিং মল ও সরকারি সম্পত্তি। এই সব কারণে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় জরুরি পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

সেই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি এলাকার নাম উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে কোনও জায়গায় পৌঁছানোর আগে মার্কিন প্রশাসনের স্টেপ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে, যাতে কোনও বিপদে পড়লে সহজে তাঁদের খুঁজে পেতে পারে মার্কিন প্রশাসন। মহিলা পর্যটকদের কখনই একা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটন স্বাস্থ্য বিমা ও পর্যটন বিমা অবশ্যই করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নাম। যে এলাকা জঙ্গিমুক্ত বলে বারবার দাবি করেছে মোদি প্রশাসন, তার পর্দাফাঁস করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বলা হয়েছে এই এলাকা সন্ত্রাসবাদ (terrorism) উপদ্রুত। ফলে এই এলাকায় একেবারেই যেতে নিষেধ করা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। শুধুমাত্র পূর্বে লাদাখে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ভারতের মধ্যভাগে একটা বড় অংশ মাওবাদী সন্ত্রাসের (Maoist terrorism) কবলে বলে সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। মহারাষ্ট্রের পূর্ব এলাকা থেকে বাংলার পশ্চিম পর্যন্ত মাওবাদী (Maoist) অধ্যুষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সব এলাকায় কর্মসূত্রেও যাওয়ার আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মেঘালয়, ওড়িশা ও বাংলার রাজধানী শহরে যেতে একমাত্র কোনও অনুমতি লাগবে না, মাও হামলা থেকে নিরাপত্তায় এই নির্দেশিকা।

নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় ফেলে রাখা মনিপুর (Manipur) ফের একবার বিশ্বমঞ্চে মুখ পোড়ালো গোটা দেশের। মনিপুরে ভ্রমণ নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন প্রশাসন জারি করেছে তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে প্রশাসনই প্রতিদিন আক্রান্ত। তাই মার্কিন নাগরিকরা কর্মসূত্রে সেখানে যাওয়ার আগেও যেন যথাযথ অনুমতি গ্রহণ করে। মনিপুরের জাতি বিদ্বেষে (ethnic violence) উত্তর পূর্বের একটা বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করা হয়।

–

–

–

–

–
–
–
–