এই মুহূর্তে পারমাণবিক বোমা তৈরির এক্তিয়ার নেই ইরানের। কিন্তু তা প্রতিহত করতে গিয়ে আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে (nuclear facility) হামলা চালিয়ে আদতে পশ্চিম এশিয়ার তথা গোটা বিশ্বের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) মহাসচিবের। সেই সঙ্গে ইউরোপের তরফ থেকেও একই বার্তা দেওয়া হল ইরানে (Iran) মার্কিন হামলার পরে।

প্রায় তিন সপ্তাহ অপেক্ষার পরে ইজরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে সরাসরি প্রবেশ আমেরিকার। সরাসরি আঘাত ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে। এরপরই প্রতিক্রিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতরেজের (António Guterres)। তাঁর দাবি, আজ ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার হামলার পদক্ষেপ নিয়ে আমি অত্যন্ত বিচলিত। ইতিপূর্বেই ওই এলাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপ্রবণ হয়ে রয়েছে সেখানে আরও ভয়ঙ্কর উস্কানি এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় বিপদ। এর ফলে এই দ্বন্দ্ব ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাবে এবং নাগরিক, এলাকা ও বিশ্বকে বড় বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে।

সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি মেনে পরমাণু কেন্দ্রের আঘাতের কারণে সব প্রতিনিধিদের আমেরিকার এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করার আহ্বান জানান মহাসচিব। তবে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলা চালানোর পরেও সেখান থেকে কোনও বিকীরণ হয়নি বলেই আশ্বস্ত করেছে আন্তর্জাতিক নিয়ামক সংস্থা।

শনিবারই ইরানের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার দ্বন্দ্ব থামাতে বৈঠক করেছিল ইউরোপের বড় দেশগুলি। তারপরই নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাবে, আন্দাজ করে রাতারাতি হামলা আমেরিকার। ফলে ক্ষুব্ধ ইউরোপের দেশগুলিও। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করে দেন, ইরান (Iran) পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির এক্তিয়ার রাখে না। সেই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিল আমেরিকার (USA) এই হামলা। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ দাবি করে ফের একবার ইরানকে আলোচনার মঞ্চে ডাক দেন স্টার্মার।

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–