নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নবান্নে (Nabanna) পৌঁছন বাংলাদেশের হাইকমিশনার। তারপর নবান্নে শুরু হয় প্রতীক্ষিত বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছাড়াও এই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন আরও এক প্রতিনিধি।

প্রতিবেশী দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। তদারকি সরকারের আমলেও থামেনি অশান্তি। ভাঙা পড়ছে একের পর এক মনীশীদের বাড়ি-স্মৃতি সৌধ। এমনকী ভাঙা পড়েছে সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়িও। তদন্তের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তারপরই নবান্নে এসে বৈঠক করে গেলেন বাংলাদেশের দূত। প্রতিবেশী বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হচ্ছে মনীষীদের বাড়ি-স্মৃতি সৌধও। সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কাছারি বাড়িও বাদ যায়নি বিক্ষোভকারীদের আক্রোশ থেকে। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এপার বাংলার সংস্কৃতিও ভূলুণ্ঠিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন মমতা। আন্তঃদেশীয় এই সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই বৈঠক হল নবান্নে। ২০১৬ সালে ঢাকার হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা।

তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২০১৬ সালে তৎকালীন ঢাকার হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যদিও কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি শুধুই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।

হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ নবান্নে যাওয়ার আগে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে উপস্থিত হয়ে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।


উল্লেখযোগ্যভাবে, সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশ (Bangladesh) হাই কমিশনার গত ২৯ মে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাঁর পরিচয়পত্র জমা দেন। সেই সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশ একটি “গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক” দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের যে ঐতিহাসিক আত্মবলিদান, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি বলেও মন্তব্য করেন।


নবান্ন সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকগুলি নিয়েও প্রাথমিক কথাবার্তা হয়।
–

–
–
–

–

–

–

–
