কোনও আলোচনা হয়েছিল কী? ইজরায়েল বা ইরানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল কী? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার আগে এরকম কোনও আভাস বা খবর পাওয়া যায়নি। তারপরেও তড়িঘড়ি যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই ঘোষণা যে আদতে মিথ্যে তা পরস্পরের উপর মিসাইল নিক্ষেপ করে ইরান (Iran) ও ইজরায়েল উভয়েই প্রমাণ করে দিয়েছে। এবার আসরে চিন (China)। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ইরানের উপর আমেরিকার হানার তীব্র নিন্দা করে ইরানের পাশে দাঁড়ালো চিন।

ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকার আঘাতের নিন্দা গোটা বিশ্ব করেছিল। তবে সেই সঙ্গে ইরানের পরমাণু গবেষণা নিয়েও সরব ছিল সব দেশ। তবে এবার সেই নিন্দার পথ থেকে সরে এলো চিন। উপরন্তু ইরানের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রে আমেরিকার আঘাতকে আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফ থেকে নিন্দার দাবি জানানো হয়েছে। চিনের দাবি, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার আঘাত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এর ফলে পরমাণু বিকিরণ ও তার থেকেও বড় বিপর্যয় হতে পারে। সেই কারণেই এর সমালোচনা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির তরফ থেকে করা প্রয়োজন।

চিনের তরফ থেকে জানানো হয়, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই-এর সঙ্গে ফোনে কথা হয় ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচির (Seyed Abbas Araghchi)। সেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায় চিন (China)। এবং সেই ভিত্তিতেই বাস্তবের সংঘর্ষ বিরতি লাগু করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করা হবে। মধ্যপ্রাচ্যেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা চালানো হবে। সেক্ষেত্রে গাজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সেই বিষয়েও চিন ইরানের কথা হয় বলে জানানো হয়।

কাতারে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরান (Iran) হামলা চালানোর পরে কার্যত ব্যাকফুটে আমেরিকা। তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে এবার ময়দানে চিন। এর আগে ইরানকে ইজরায়েলের উপর হামলা করা থেকে নিরস্ত করতে চিনের মধ্যস্থতা দাবি করেছিলেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও। তবে এবার স্পষ্ট অর্থেই পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষ থামাতে আমেরিকার বিকল্প হিসাবে চিনের প্রবেশ। এবং চিন স্পষ্ট করে দিল তারা ইরানের পাশেই থাকছে।


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
