Saturday, July 19, 2025

চুরি করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা! ভাগ পেয়েছে দল, প্রশ্ন তৃণমূলের

Date:

Share post:

নিজের রাজ্য বা জেলা নয়। পাশের রাজ্যে গিয়ে সোনার দোকানে চুরি (gold ornament)। সেই চুরি হতেই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সোনা চুরি করেন তিনি। এরপরই আসল চমক। চোর অভিযোগে ধৃত যুবক আদতে বিজেপির কর্মী (bjp worker)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে একাধিক নেতার সঙ্গে ছবি সেই বিজেপি নেতার। বাংলার শাসকদলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, পদাধিকারী নেতা যদি চুরি করেন তবে কী সেই চুরির ভাগ পৌঁছায় শীর্ষ নেতাদের কাছেও?

ওড়িশার (Odisha) জলেশ্বরের একটি সোনার দোকানে গাড়ি করে যান বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা কমিটির সম্পাদক সোমনাথ সাহু। পশ্চিম মেদিনীপুরের হবিবপুরের যুব মোর্চারও কর্মী তিনি। দোকানে ঢুকে সোনা দেখার নাম করে দোকানের কর্মীদের ব্যস্ত করে দেয় সে। এরপরই প্রায় ১০০ গ্রামের একটি সোনার গয়না (gold ornament) নিয়ে চম্পট দেয় সোমনাথ। দোকানের কর্মী ও স্থানীয়রা তার গাড়ির পিছনে অন্য গাড়িতে ধাওয়া করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে সোমনাথের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে যেতেই পিছন থেকে তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

ওড়িশা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমনাথকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে। পরে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার ছবি তুলে ধরে যে রাজনীতি বিজেপি করার চেষ্টা করে এই রাজ্যে, তাদের পাল্টা সোমনাথের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ছবি তুলে ধরা হয় দলের পক্ষ থেকে। সেখানে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) সঙ্গে রয়েছেন সোমনাথ সাহু। সেই সঙ্গে বিজেপির ঘাটালের প্রার্থী হিরণের সঙ্গেও ছবি দেখা যায় তার। অভিযোগ তোলা হয় সোমনাথের স্ত্রী ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীও ছিলেন।

অভিযোগ সামনে আসার পরই অভিযুক্তকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা বিজেপির। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সোমনাথের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিজেপি। জেলা কমিটি গঠন না হওয়ার তার নাম তালিকায় রয়েছে বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। যদিও বাস্তব স্পষ্ট করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলেন, চুরির অভিযোগের ধৃত বিজেপির সক্রিয় কর্মী। সেখানেই তাঁর প্রশ্ন, একজন চোরের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কী সম্পর্ক? তিনিও কী ভাগ পেয়েছিলেন? স্পষ্ট করা হোক এর উত্তর। তৃণমূল কখনই বলে না ওই ব্যক্তিকে চুরি করতে পাঠিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কেন একজন চোরের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ছবি, তা ব্যাখ্যা সুকান্তকে দিতে হবে।

spot_img

Related articles

অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলা: ৬ জনের জামিন, জেল হেফাজতে ৪

বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় শুক্রবার জামিন পেলেন ছয় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে জেল হেফাজতের (judicial custody) নির্দেশ...

শনিতে I.N.D.I.A-র ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের তরফে থাকবেন অভিষেক

I.N.D.I.A ভার্চুয়াল বৈঠক শনিবার। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল সাড়ে...

ধর্মীয় স্বাধীনতায় লাগাম! মহারাষ্ট্রে বেছে বেছে জাতি শংসাপত্র

ধর্মের পরে বিজেপি এবার জাতি বিভাজনের রাজনীতিতে। মেরুকরণের শেষ সীমায় না পৌঁছে যে থামবে না বিজেপি নেতারা, স্পষ্ট...

রামনাম ছেড়ে, এবার দুর্গা-কালীর শরণে মোদি! কটাক্ষ তৃণমূলের

আমন্ত্রণপত্রের পরে ভাষণেও বাঙালি মন জয়ের চেষ্টায় দুর্গাপুরে বাংলায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর...