ভোটের ময়দানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাল্লা দিতে না পেরে এবার কুৎসিত ব্যক্তি আক্রমণে সিপিআই এম (CPIM) নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। সংস্কৃতির ধ্বজাধারী সিপিআইএম-এর যুবনেত্রীর মুখের ভাষা লজ্জা দেবে যে কোনও শিশুকে। যদিও বাম নেতারা যে আর এতে লজ্জা পান না তার প্রমাণ তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে আক্রমণ করার পরেও সিপিআইএম-এর তরফে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার ঘটনায়। যদিও রাজনীতির মঞ্চে পেরে না উঠেই এভাবে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ মীনাক্ষির দাবি, কুণালের। সেখানেই প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখোমুখি বসার চ্যালেঞ্জ করেন মীনাক্ষিকে কুণাল।

নদিয়ার কালীগঞ্জে মঞ্চ থেকে কুৎসিত ভাষায় কুণাল ঘোষকে ইঙ্গিত করে আক্রমণ করেন প্রাক্তন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তবে সেটা যে নিতান্ত হতাশা থেকে তা বোঝাতে গিয়ে কুণাল বলেন, এটা আমার কাছে খুব আমোদের ব্যাপার। আমি দলের তরফে বলি। সেটা যে সিপিএমের হজম হয় না, সিপিএম (CPIM) নিতে পারে না এবং আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করতে হয়। এটা মুখপাত্র (spokesperson) ও দলের সৈনিক হিসাবে আমার সাফল্য।

মীনাক্ষির এই চরম হতাশা প্রকাশের কারণও ব্যাখ্যা করেন কুণাল। তিনি বলেন, মীনাক্ষি ছাত্র নেত্রী নতুন এসেছেন এমন নয়। অনেক দিন ধরে ব্যর্থ। নিজের পাড়ায়, বুথে জেতাতে পারে না দলকে। ব্যর্থ, অপদার্থ, মুখেন মারিতং জগৎ। এই ভাষা প্রকাশ্যে যায় না। আমাকে অন্য আক্রমণ করুন।

তবে যে শব্দ তিনি প্রয়োগ করেছেন তার যথাযথ জবাব দিয়ে কুণাল ঘোষ নিজের পরিচয় ব্যাখ্যা করেন। কুণালের স্পষ্ট জবাব, জেনে রেখে দিন আমি কাদের বাচ্চা। আমার বাবা ডক্টর কল্যাণ ঘোষ। আমার বাবা মা দুজনেই আর জি করের ছাত্র। আমার বাবা এসএসকেএম-এর বায়ো কেমিস্ট্রির হেড ছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রোগীর তালিকার মধ্যে অনিল বিশ্বাস, ডঃ অসীম দাশগুপ্ত-সহ একাধিক নেতা। একবার জিজ্ঞাসা করবেন এই নামটা পরিচিত কি না, তারপর বংশ তুলবেন।

প্রচার সর্বস্ব বামেদের রূপ এই ইস্যুতে ফের একবার স্পষ্ট করেন কুণাল। সেই সিপিআইএম ও তার নেত্রী মীনাক্ষির মুখোশ খুলে তিনি বলেন, সারদায় আমি গ্রেফতার ছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এক কণা প্রমাণ হয়নি আমি কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে। চক্রান্ত ছিল, সবাই জানে। সারদা-সহ সব চিটফান্ডের কত কোটি টাকার বিজ্ঞাপন সিপিআইএম-এর গণশক্তি নিয়েছে। সারদার সুদীপ্ত সেনের থেকে কত কোটি? রোজভ্যালির এজেন্টি মিটিংয়ে শ্যামল চক্রবর্তী কেন ছিলেন? বক্তা কে? শ্যামল চক্রবর্তী, বক্তৃতা দিচ্ছে কে? মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। সিপিআইএম-এর নতুন কালচার যেটা তৈরি হয়েছে ৩৪ বছর মা-বোনেদের অপমান করেছে। ধর্ষণ, গণহত্যা, নারী নির্যাতন একের পর এক। রক্তমাখা হাত যাদের তাদের হয়ে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় গলা ফাটাচ্ছেন। নির্লজ্জ বেহায়া।

আরও পড়ুন: SFI-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক সৃজন: নির্বাচনের আগে রাজ্যে সংগঠনে জোর বামেদের

তবে জেলায় গিয়ে দলের মঞ্চে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন মীনাক্ষি, তা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলার চ্যালেঞ্জ জানান কুণাল। মীনাক্ষিকে সোজা চ্যালেঞ্জ, সংবাদ মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে কোথায় যেতে? এরাজ্যে গণতন্ত্র আছে বলে এসব সহ্য হচ্ছে। হাসি মুখে ওড়াচ্ছে। আমরা ব্যক্তি কুৎসা করি না। রাজনীতি আমি জানি। আমার বিরোধী পক্ষ যখন আমায় পাল্লা দিতে পারে না তখন এইসব কথা বলে। মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে খোলা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, সব টিভি মিডিয়াকে সামনা সামনি মুখোমুখি ডাকুন। কে শুয়োরের বাচ্চা প্রমাণ হোক। নিজের দলের মঞ্চে আঙুল তুলে বলার দম থাকে, তাহলে টিভি চ্যানেলের সামনে হোক। দম থাকলে শুয়োরের বাচ্চা কথাটা ব্যবহার করুক। মানুষ সেই বিতর্কটা দেখুক।

–

–

–
–
–
–
–