তথ্য সংগ্রহের জন্য নেওয়া হয়েছিল সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের একাধিক সিসিটিভি-র ফুটেজ (CCTV footage)। সেই ফুটেজের সঙ্গে নির্যাতিতা কলেজ পড়ুয়ার বয়ান ইতিমধ্যেই মিলে গিয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার চারজন। তবে এই ঘটনায় যে কোনওভাবেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রামাণ্য নথি হাতছাড়া করতে রাজি নয় কলকাতা পুলিশ, তা তাদের তৎপরতাতেই প্রমাণিত। কলকাতা পুলিশের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) সদস্য সংখ্য়া বাড়িয়ে চার থেকে নয় জন করা হল। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের গোপণ জবানবন্দি (statement record) নেওয়ার জন্য আদালতে বিশেষ আবেদন করা হল।

ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা তরুণীর গোপণ জবানবন্দি সংগ্রহের পাশাপাশি শনিবার তাঁকে কলেজে নিয়ে এসে দুঘণ্টা ধরে ঘটনার পুণর্নির্মাণ (reconstruction) করা হয়। সংগ্রহ করা হয় কলেজের ভিতরের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার প্রায় সাত ঘণ্টার ফুটেজ। নির্যাতিতা নিজের বয়ানে যে সময়ের উল্লেখ করেছিলেন – সাড়ে সাতটা থেকে ১০.৫০ পর্যন্ত, সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV footage) তিন অভিযুক্ত ও কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীর উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। সেই সঙ্গে সময় অনুযায়ী কোন ঘর থেকে কোন ঘরে কারা তাকে নিয়ে গিয়েছিল, অন্যরা সেই সময় কী করছিল, সেই বয়ানও মিলে গিয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।

তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানেই নির্যাতিতার আপত্তিজনক যে ভিডিও তুলে তাকে ব্ল্যাকমেল (blackmail) করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল, সেই ভিডিওটি পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এই অভিযুক্তরা কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাদের মোবাইলে আর কি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

ধর্ষণের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের পোশাক। মূলত এক প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ। বাকি দুই কলেজ পড়ুয়া ঘটনায় সাহায্য় করায় দায়ের হয়েছে গণধর্ষণের মামলা। সেই ধর্ষণে অভিযুক্তের ডিএনএ (DNA) নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সংগ্রহ হয়েছে নির্যাতিতার ডিএনএ নমুনাও। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার যে শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে, তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলেই চিকিৎসকদের দাবি।


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
