অপরাধ প্রমাণ থেকে দোষীর শাস্তি পর্যন্ত কার্যকারিতায় কলকাতা পুলিশ তথা বাংলার পুলিশের সাফল্য বারবার প্রমাণিত। সাম্প্রতিক আর জি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তদন্তে যেভাবে আস্থা রেখেছে সিবিআই, তাতে তাদের দক্ষতা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। সেই পুলিশের উপরই মেয়ের বিচারে ভরসা রাখছেন, জানালেন নির্যাতিতার (victim) পরিবার। সেই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) সঙ্গে নিজেদের মতো সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিয়েও আপত্তির কথা জানান তিনি।
ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে অভিযোগে নিরুপায় বলে দাবি করা নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্ত নিয়ে এরপরে আস্থা প্রকাশ করছে নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার এক আত্মীয় জানান, তদন্তে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) উপরই আস্থা রাখছেন তাঁরা। তদন্ত ভালো চলছে। পরিবার থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি (capital punishment) দাবি করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তাঁরা।
জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করেছে, তাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁরা জানান, জাতীয় মহিলা কমিশন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই তাঁরা জানান, কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে তাঁদের সঙ্গে বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ তাঁরা চান না। তাঁদের মানসিক অবস্থা এখন সেরকম নেই। ফলে কার্যত জাতীয় মহিলা কমিশন যে রাজ্যে ফের মিথ্যাচার ও রাজনীতি করতেই মাঠে নেমেছে, তা আরও একবার প্রমাণিত।
রবিবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে (South Calcutta Law College) ঢোকা নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বিবাদ হয় জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) সদস্যদের। তাঁরা ছবি ও ভিডিও করতে চাইলে কলকাতা পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর সেই ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করতে মাঠে নামে কমিশনের সদস্যরা। যদিও কমিশনের এক সদস্যের সঙ্গে দুই সহযোগী কলেজে ঢোকেন এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পর্যবেক্ষণও করেন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবার একেবারেই নাকচ করে দেয়।
সেখানেই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) দাবি করেন, কোথাও পুলিশ কমিশনকে বাধা দেয়নি। কিন্তু যে তৎপরতা নিয়ে কলকাতার ঘটনায় মাঠে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশন তার একাংশও দেখা যায়নি ওড়িশায় পাঁচটি গণধর্ষণের ঘটনায়। সেখানে কোনও কমিশনকে দেখা যায়নি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–