নারী সুরক্ষা নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়ানো বিজেপির মুখোশ খুলে গেল আবারও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে বাঁচাতে নির্যাতিতার পরিবারকে দেওয়া হল ঘুষের প্রস্তাব। অভিযোগ, বিজেপির পূর্ব মণ্ডল কমিটির সদস্য রঞ্জিত বর্মন সরাসরি বলেন, “দুই হাজার, পাঁচ হাজার নিলে একটা মীমাংসা হত। এমনও হতে পারে, ৫০ হাজার মেয়েটির নামে ফিক্সড করে দিলে বিয়ের সময় কাজে লাগবে।” এই লজ্জাজনক ও ন্যক্কারজনক মন্তব্য ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ খোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ইভান দাস। তাঁর অভিযোগ, “নারীর সম্মানকে যারা টাকার অঙ্কে হিসাব করে, তাদের মুখে ‘নারী সুরক্ষা’র বুলি শুধু ভণ্ডামি। ধর্ষকের শাস্তির বদলে বিজেপি চায় মীমাংসা করে অপরাধ ধামাচাপা দিতে।” নির্যাতিতার পরিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও মীমাংসা তাঁরা চাননি, বরং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানিয়েছেন, পকসো আইনের অধীনে এই মামলায় মীমাংসা চাওয়াও অপরাধ, এবং এমন চেষ্টার বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মেয়েদের পাশে আছে বলেই অপরাধীরা ধরা পড়ছে, শাস্তি হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি চায়, টাকা দিয়ে বিচারপথ বন্ধ করে দেওয়া হোক।” ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধূপগুড়ির রাজনৈতিক আবহ একেবারে সরগরম। ভিডিও ভাইরালের জেরে বিজেপি-র অস্বস্তিও বেড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত দলের তরফে রঞ্জিত বর্মনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপের খবর পাওয়া যায়নি।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল— নারী সুরক্ষা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে, আর রাজ্যের সরকার প্রকৃত অর্থে পাশে দাঁড়ায় নির্যাতিতাদের। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে স্বস্তিতে নির্যাতিতার পরিবার। আইনজ্ঞ মহল মনে করছে, এই ঘটনার তদন্তে যদি প্রভাব খাটানোর প্রমাণ মেলে, তবে অভিযুক্তের পাশাপাশি মীমাংসার প্রস্তাবদাতার বিরুদ্ধেও কঠিন ধারায় মামলা হতে পারে।


আরও পড়ুন – “মিডিয়া ট্রায়াল নয়! তদন্তে আস্থা রাখুন”, ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাঝে মুখ খুললেন মনোজিতের বাবা


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_