ডুরান্ডের (Durand) অদ্ভূত সিদ্ধান্ত। আর তাতেই সমস্যায় দুই প্রধান মোহনবাগান (Mohunbagan) ও ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal)। ডুরান্ড কাপ আদৌ হবে কিনা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কোন দলগুলো এই প্রতিযোগিতায় খেলবে তা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা। এরইমাঝে মোহনবাগান (Mohunbagan), ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) প্রস্তুতির মাঠ নিয়ে নিল ডুরান্ড (Durand) কমিটি। কার্যত জোর জবরদস্তি করে নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েই মাঠ দখল করে নিল তারা। আর তাতেই ঘোর সমস্যায় দুই ক্লাবই।

যুবভারতী স্টেডিয়ামের দুই প্রস্তুতি মাঠই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে ডুরান্ড (Durand Cup) কমিটি। সেখানেই প্রস্তুতি সারছিল লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন শিবিরের ফুটবলাররা। দুই ক্লাবের তরফ থেকেই আরও ১০ থেকে ১২ দিন চাওয়া হয়েছিল এখানে প্রস্তুতি করার জন্য। কিন্তু কোনও কথা কর্ণপাত না করেই মাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে তারা। এরপরই থেকেই বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মোহনবাগানকে (Mohunbagan) প্রস্তুতির জন্য যেতে হয়েছে নিউ টাউনে ফেডারেশনের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মাঠে। সেখানেও আবার ঘাসের মাঠে প্রস্তুতি সারতে পারবে না তারা। অ্যাস্ট্রাটার্ফেই সারতে হবে অনুশীলন। সেটা কিন্তু বেশ চিন্তায় ফেলেছে তাদের। কারণ অ্যাস্ট্রোটার্ফে প্রস্তুতি সেরে খেলতে আসতে হবে ঘাসের মাঠে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলকে (Eastbengal) যেতে হয়েছে হাওড়া স্টেডিয়ামে।

দুই প্রাধানই বেশ অসন্তুষ্ট এই ব্যাপারে। দুই ক্লাবেরই অন্দর থেকে সমস্যার কথাই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে। তিন সপ্তাহ আগে মাঠ তো নিয়ে নিল। কিন্তু এখানে প্রস্তুতি সারবে কোন দল গুলো। কারণ আইএসএলের সব মিলিয়ে প্রায় ছটি দল নাকি এবার ডুরান্ড কাপ খেলতেই রাজি নয়। সেক্ষেত্রে ডুরান্ড কাপ আদৌ হবে কিনা তা নিয়েই চূড়ান্ত হওয়া যাচ্ছে না। তবে কেন তিন সপ্তাহ আগে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের থেকেই প্রস্তুতি মাঠ নিয়ে নেওয়া হল? প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক।

লিগ শুরু হতে এখনও ২২ দিন বাকি রয়েছে। কিন্তু সেই লিগের সূচী পর্যন্ত ঘোষণা করতে পারেনি ডুরান্ড কমিটি। কারা এই দুই মাঠে প্রস্তুতি সারবে তাও নিশ্চিত নয়। তবে কেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের থেকে মাঠ নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হল।

ডুরান্ড ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সিএফএলও শুরু হয়েছে। এরই মাঝে দুই ক্লাবের থেকে প্রস্তুতি মাঠ নিয়ে নেওয়াতে বেশ সমস্যাতেই পড়ে গেল কলকাতার দুই প্রধান।

–

–

–

–

–
–
–
–
–