কসবার ধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Rape Case)এবার আইন কলেজের বর্তমান ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়কে (Nayna Chatterjee)জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ১৬ জন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করা গেছে যাঁরা ঘটনার দিন কলেজেই ছিলেন। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁদের কোন যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (Monojit Mishra)ছাড়া বাকি দুজনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে নির্যাতিতাকে আগে থেকেই ‘টার্গেট’ করে রাখা হয়েছিল। ঘটনার দিন কীভাবে গোটা ঘটনাটি সংগঠিত হবে তার একটি পরিকল্পনাও নাকি করেছিল মনোজিৎ। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে কলেজের বর্তমান কোনও ছাত্রীকে প্রাক্তন কোনও পড়ুয়ার টার্গেট করছে, এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্যরা কেউ কেন আগে থেকে কিছু জানতে পারল না? এই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই সোমবার VP নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। মনোজিতের কল লিস্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে যে ঘটনার পরের দিন ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত কিছু আলোচনা হয়েছিল কিনা পানি সিটের আধিকারিকরা VP-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।পাশাপাশি ঘটনার দিন কলেজে থাকা ছয় পড়ুয়ার সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। ১৬ জন পড়ুয়া ধর্ষণের ঘটনার পরের দিন কলেজে ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় ইউনিয়ন রুমে কাটিয়েছিলেন। সেখানে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তাও জানতে চাইছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত তিনজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে তাদের মধ্যে বেশ কিছু হোয়াটস্যাপ বার্তা হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।কলকাতা-সহ বিভিন্ন থানায় দশটির বেশি অভিযোগ রয়েছে মনোজিতের বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই আইন কলেজের ছাত্রীরা একে একে ধৃতের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিযোগ জানাচ্ছেন বলে খবর। সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজ প্রাক্তন ছাত্র তিতাস মান্না জানান, “২০১৬-১৭ সাল থেকেই মনোজিৎ মিশ্র কলেজের ত্রাস ছিল। ২০১৭ সালে পয়লা ডিসেম্বর ৩০ থেকে ৪০ জন ছেলে নিয়ে এসে আমাদের প্রত্যেকের উপর মারধর করে। মনোজিৎ মিশ্র যেটা বলবে সেটাই করতে হবে। মেয়ে হলে মেয়েদের সাথে অসভ্যতামি হবে, আর ছেলে হলে মারধর খেতে হবে নাহলে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হবে। এটাই যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছিল।” ২০১৯ সালে গড়িয়াহাট থানায় মনোজিতের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে কসবা থানায় মনোজিতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে টালিগঞ্জ, কসবা, গড়িয়াহাট, থানায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, শ্লীলতাহানি, চুরি , মারধর-সহ একাধিক মামলা রয়েছে মনোজিৎ মিশ্রের নামে।

–

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–