গোটা দেশে ক্ষমতা কায়েম করার পরে কৃষক শ্রেণিকে সবথেকে বেশি কোণঠাসা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আর তার সবথেকে বড় উদাহরণ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। এই বছরের শুরুতে মাত্র তিন মাসে সেখানে আত্মহত্যা করেছে ৭৬৭ কৃষক (farmer suicide)। এই হারে মৃত্যু বজায় থাকলে এই বছরেই গত দুই বছরের কৃষক মৃত্যুর রেকর্ড পার করে যাবে দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis) নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র। এমনকি তথ্য অনুসন্ধান করে এর মধ্যে ২০০ কৃষকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও অস্বীকার করছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রশাসন।
দেনার দায় থেকে ফসলের সঠিক দাম না পাওয়া। বছরের শুরু থেকে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনায় শীর্ষে দেখা গিয়েছে বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রকে। এই নিয়েই বিরোধী বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। তার উত্তরে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী তথ্য পেশ করেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে কৃষক আত্মহত্যার (farmer suicide) ঘটনা ঘটেছে ৭৬৭টি। প্রশাসনের দাবি, এর মধ্যে মাত্র ৩৭৩টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ (compensation) দেওয়া সম্ভব। বাকি ২০০ টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। অর্থাৎ ২০০ কৃষক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ থেকেও বঞ্চিত করছে ফাড়নবিশ প্রশাসন।
এখনও ১৯৪টি আত্মহত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে তথ্য যাচাই চলছে। জানানো হয়, ৩২৭ টি ক্ষেত্রে পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলির ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া চলছে। মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ (compensation) পায় মৃত কৃষকের পরিবার।
কেন্দ্রের মোদি সরকার বারবার কৃষকদের একাধিক দাবিকে অবহেলা করেছে। একদিকে কৃষকদের ন্যায্য এমএসপি-র দাবিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে মোদির সরকারের তরফে। সেই সঙ্গে ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কোনও লাগাম টানার পথে হাঁটেনি কেন্দ্রের সরকার। ফলে রাজ্যের সরকার কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে আত্মহত্যা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় থাকে না।
আরও পড়ুন: টহলরত পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা বেপরোয়া ট্রাকের! মৃত এসআই-সহ ২
মহারাষ্ট্রে ২০২৩ সালে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২,৮৫১ টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২,৬৩৫টি। এরপরেও যে কোনও হুঁশ ফেরেনি দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ সরকারের তা স্পষ্ট তিন মাসে ৭৬৭ কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায়। এই হারে আত্মহত্যা হতে থাকলে ২০২৫ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ৩ হাজার পার করার আশঙ্কা।
–
–
–
–
–
–
–
–