Wednesday, December 24, 2025

আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ শমীকের, দূরেই রইলেন দিলীপ

Date:

Share post:

আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন দলেই মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বুধবারই স্থির হয়ে যায় বঙ্গ বিজেপির (BJP) পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম। কারণ শমীক একাই মনোনয়ন জমা দেন। বৃহস্পতিবার, অনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), এমনকী আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা উপস্থিত থাকলেও ডাক পাননি আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সুবক্তা শমীককেই যোগ্য মনে করেছে দল, সেই কারণেই দায়িত্ব দিয়েছে- মন্তব্য অভিমানী দিলীপের।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকেই দূরে ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার সল্টলেকের বিজেপির দফতরে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া ও স্ক্রুটিনি হয়। শুধু শমীকে মনোনয়নই জমা এবং গৃহীত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার ভিত্তিতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শমীক। বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিজেপির নিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিক রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে সুকান্ত, শুভেন্দু, রাহুল- সবাই উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দিলীপ।

হাতে ডুগডুগি নিয়ে জনজাগরণে রাস্তায় হাঁটেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। এবার রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছিল, পদ্মশিবির ফের দিলীপকেই রাজ্য সভাপতি করবে। কারণ, তাঁর আমলেই কিছুটা জয়ের মুখ বাংলায় দেখেছে বিজেপি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা হয়নি। নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক সম্পর্কে দিলীপের মত, “আমি যখন দলে আসি তখন রাজ্যের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন শমীক। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। দুটো পদ একসঙ্গে দেওয়া হয় না। তাই তখন প্রেসিডেন্ট করেনি দল। উনি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দলের মুখপাত্র। ভালো কথা বলেন। দল মনে করেছে উনি সংগঠন করতে পারবেন, তাই দায়িত্ব দিয়েছে।”

আনুষ্ঠানিক ভাবে শমীক দায়িত্বভার নেওয়ার দিন দিলীপ গেলেন না কেন? উত্তরে স্পষ্টবাদী দিলীপের গলায় অভিমানের সুর। জানালেন, ”এই অনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না, কারণ, আমাকে আলাদা করে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। আমি সভাপতি নির্বাচনের ভোটার নই। যাঁরা প্রদেশ পরিষদ সদস্য, তাঁরাই ভোটার। আজকের অনুষ্ঠানেও তাঁদের ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ডাক পেয়েছেন। আমার ওখানে যাওয়ার কথা নয়।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত গেরুয়া শিবিরে দলের এক অংশের দাবি, সাম্প্রতিক কালে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দিলীপকে ডাকা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছা মেনেই নাকি এই সিদ্ধান্ত বলে মত অনেকের।
আরও খবরকয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের পাকিস্তানি সেলেবদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা!

spot_img

Related articles

তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন অবৈধ, পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের

তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে বড়সড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। চেয়ারম্যান চঞ্চল কুমার খাঁড়ার নির্বাচন পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করল কলকাতা...

ফের রক্তাক্ত কোচবিহার: দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা

ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কোচবিহারে। দিনহাটার (Dinhata) বাড়ি থেকে বেরোতেই গুলি চালানো হয় তৃণমূল নেতা মিঠুন রাজভরকে লক্ষ্য করে।...

টিউশন থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা! চাঞ্চল্য মালদহে 

সাতসকালে নয়, একেবারে জনবহুল সন্ধ্যার অন্ধকারে ফেরার পথে নৃশংস হামলার শিকার হল এক স্কুলছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে...

ক্ষত্রিয় সমাজ কার্যালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনিময় করলেন উৎসবের শুভেচ্ছা

উৎসবের মরসুমে শহর যখন আলোর সাজে সেজে উঠেছে, ঠিক তখনই জনসংযোগের চেনা মেজাজে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।...