সংসার বড় হলে সমস্যা হয়: শমীক-সাক্ষাতের আগে কীসের ইঙ্গিত দিলীপের!

Date:

Share post:

রাজ্য বিজেপির (BJP) কোন্দল প্রকাশ্যে। নতুন রাজ্য সভাপতির দায়িত্বভার অনুষ্ঠানে ডাক পাননি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সল্টলেকের বিজেপির কার্যালয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) মধ্যে বৈঠকের সঙ্গে কথা রয়েছে দিলীপের। বৈঠকের আগে দলের থেকে দূরত্ব বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে দিলীপ বলেন, “সংসার বড় হলে সমস্যা হয়। সেটা মাথায় রেখেই চলতে হবে। বসে সমাধান করতে হবে”। তাঁর এই বক্তব্যের পর উঠে আসছে কীসের ইঙ্গিত? একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দিলীপের দাঁড়ানো কী শুধুই জল্পনা!

শমীক ভট্টাচার্যের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হতে চলেছে। যখন শমীকের মাথায় বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতির তাজ পরানো হয়, সেই অনুষ্ঠানেও ডাক পড়েনি দিলীপের। তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কেন এতদিন এই বৈঠক হয়নি? কেন দিলীপকে ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি? তবে, নির্বাচনী যুদ্ধের আগে বিজেপির এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন নয়। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তার কারণ কি দলের সঙ্গে আপাতত দিলীপের দূরত্ব বেড়ে যাওয়া?

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংসার বড় হলে সমস্যা হয়, সেটা মাথায় রেখে চলতে হবে।” তাঁর এই মন্তব্য দলের মধ্যে কী বিভাজনের ইঙ্গিত রয়েছে। দলীয় একতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যখন, তখন তাদের প্রধান পুরোনো নেতা, তাঁকে কার্যত নিঃসঙ্গ করে রেখেই এগিয়ে চলছে দল।

যদিও, রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে শমীক ভট্টাচার্য ‘আদি-নব্য’ সকলকে একত্রে নিয়ে চলার যে বার্তা দিয়েছেন, সেটি তাঁর রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রতিফলিত করার চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এখানে প্রশ্ন হল, এই বিভাজন কি সত্যিই মিটবে? বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব কি দলের ভবিষ্যতকে আরও সংকটময় করে তুলবে!

শুধু তাই নয়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে, বিজেপির পুরোনো এবং নতুন নেতাদের মধ্যে একতা সৃষ্টির প্রতি অদৃশ্য প্রতিরোধ বিজেপির অস্থির ভবিষ্যতের অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজ্য বিজেপির এই অস্থিরতা এবং বিভাজন কি তাদের পুনর্গঠন বা শক্তি সঞ্চয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে? উত্তর দেবে সময়। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকের পরই দিল্লি রোনা হবেন শমীক। এখন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে হওয়া এই বৈঠক শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়ে থেকে যায় নাকি জন্ম দেয় নতুন সমীকরণের।
আরও খবর:রাজনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টান্ত মুখ্যমন্ত্রীর: জন্মদিবসে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা

spot_img

Related articles

উৎসবে মরশুমে দার্জিলিং-এ নতুন হেরিটেজ! আসছে ১৩০ বছর পুরোনো ইঞ্জিন

বাঙালির ছুটি মানেই দার্জিলিং। এবার পুজোয় আবহাওয়া যেরকম পূর্বাভাস শোনাচ্ছে তাতে আরও বেশি করে দার্জিলিং-মুখি বাঙালি। সেই সঙ্গে...

“ছুঁয়ে দেখলাম মা-কে”— হুগলিতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য ‘অন্য পুজো’

সুমন করাতি, হুগলি মহালয়ার ঠিক আগের দিন, যখন শহর-গ্রামজুড়ে পুজোর প্রস্তুতির শেষ পর্যায় চলছে, তখন হুগলির (Hoogli) চণ্ডীতলায় দেখা...

বেনজির! মা-বাবার বিচ্ছেদের দড়ি টানাটানির মধ্যে শিশু সন্তান

স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ। আর তার মধ্যে পড়ে সন্তানের ভোগান্তি। এই ছবি এদেশ-বিদেশ সর্বত্র একই। তবে সেটা পরোক্ষ। কিন্তু প্রত্যক্ষ...

সমীক্ষার নামে তথ্য পাচার! বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস, বাসন্তীতে জালে তরুণী

সমীক্ষার নাম করে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এরাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিজেপির এই...