রাজ্যে বিজেপির সভাপতি পদে পালাবদলের পরে ফের সংসারে সম্মান প্রাপ্তি দিলীপ ঘোষের। রাজ্য সভাপতি সম্বর্ধনা মঞ্চে না থাকলেও আলাদা দিনে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharyya) সঙ্গে দেখা করে আখেরে তিনি বুঝিয়েছিলেন – তিনিই খবরে আছেন। তারপরই দিল্লিতে ডাক। কার্যত বিজেপির মঞ্চে আবার উদীয়মান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেই ইঙ্গিত পেতেই গত প্রায় চার বছর ধরে তাঁকে দমানোর চেষ্টা করা বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন সুকান্ত মজুমদারকে নাম না করে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।

২০২১ সালে বঙ্গ বিজেপিতে দুটি পালাবদল হয়েছিল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এরপর থেকেই রাজ্য বিজেপির কর্মসূচি থেকে ক্রমশ সরে যেতে শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যার পরিণতি ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) পরাজয়। তবে ২০২৫-এ দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষের মুখে সেই ২০২১ নিয়ে আফশোষ।

রাজ্য বিজেপিতে নতুন ও পুরোনো মেলবন্ধনের কথা বলছেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তিক্ততা শুরু হওয়ার পরে কীভাবে সেই নেতাদের সঙ্গে এক পথের পথিক (deal) হবেন, প্রশ্ন উঠতেই নস্টালজিক দিলীপ। ২০২১ স্মরণ করে তার বক্তব্য, ডিল (deal) তো এদের সঙ্গে আগেও করেছি। এদের তো আমিই জয়েন করেছি। আমার সময়েই তো এসেছেন। যখন মনে হয়েছে পার্টি আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আমি সরে গেছি। আজ নয়, ২১ সাল থেকে এটা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের মানচিত্রে বাংলার সম্মানহানি! চিঠিতে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

নিজের হাতে যাঁদের অন্য দল থেকে যোগ দান করিয়েছিলেন, ২০২৫-এ নতুনভাবে সম্মান ফিরে পাওয়ার পরে তাঁদের নিয়েই আফশোষ দিলীপের কথায়। তিনি বলেন, পার্টি যখন ক্ষমতার কাছাকাছি আসে বহু লোক এসে যায়। সবাই আদর্শ নিয়ে আসে এরকম নয়। বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। লক্ষ্য রেখে পার্টিকে এগোতে হবে। নিতে হবে সবাইকে। যোগ্যতা অনুযায়ী ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ দিতে হবে।

–

–

–
–

–

–
–
–
–