পহেলগাম হামলা ও তার পরবর্তী সময়ে পাক হামলার পরে প্রথম নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্ত বৈঠক করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। মমতাদিদিকে জম্মু-কাশ্মীর আসার আমন্ত্রণ জানালেন ওমর। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পুজোর পরে যাওয়ার কথা জানালেন মমতা। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনকে ফের চাঙ্গা করতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হানার পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছে। প্রভাবিত হয়েছে ভাবমূর্তি। সেসব ঝেড়ে ফেলে জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন ক্ষেত্রকে ফের চাঙ্গা করতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই নেতাই জানান, কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভবিষ্যতে শিল্প, পর্যটন ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সে কারণে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওমর আবদুল্লা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাশ্মীর সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা চাই, বাংলার মানুষ আরও বেশি করে কাশ্মীর ভ্রমণে আসুন। তাঁদের জন্য সমস্তরকম নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে।” পাশাপাশি তিনি জানান, শিল্প ও পর্যটনের ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের মধ্যে যৌথভাবে কাজের পথ খোলা হচ্ছে।
মমতা বলেন, “আমি ওমরজির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। পুজোর পর কাশ্মীর যাব। নিরাপত্তা নিয়ে ওমরজিই আশ্বস্ত করেছেন। তবে সীমান্ত সুরক্ষা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ওই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা জোরদার করা ।”
কাশ্মীরকে ‘দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জায়গা’ বলে অভিহিত করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি কাশ্মীরকে ভালবাসি, কাশ্মীরের ভাই-বোনদের ভালবাসি। কাশ্মীরের পাশে থাকব সব সময়। পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মীর সরকার একসঙ্গে পর্যটন ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে কাজ করবে।”
আরও খবর: নিয়োগে বিলম্ব নয়: ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ-মেডিক্যাল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার নির্দেশ মুখ্যসচিবের
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–