নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মাইকই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সবার শেষে যে রাজ্যের বক্তব্য পেশ করতে দেওয়া হয়, তাদের বলার সুযোগই দেয় না কেন্দ্রীয় প্রকল্প নির্ণায়ক সংস্থা (NITI Aayog)। এরপরে বাংলা থেকে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রতিনিধি না পাঠানো নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কেন যোগ দেওয়া হবে সেই বৈঠকে, যেখান থেকে বাংলার জন্য বরাদ্দের হিসাব দেওয়া হয় না। বাংলার কথা পর্যন্ত শোনা হয় না। সব বৈঠককে পাশে সরিয়ে রেখেও বাংলা এবার দেখিয়ে দিল, উন্নয়ন সম্ভব। আর বাংলার সেই উন্নয়নের প্রশংসা এবার খোদ নীতি আয়োগ করতে বাধ্য হল।

বাংলার সাফল্য স্বীকার করে নিল নীতি আয়োগ। বাংলার উন্নয়নকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না, তা নীতি আয়োগের সামারি রিপোর্টই প্রমাণ। কেন্দ্র পদে পদে বঞ্চনা করে গিয়েছে, তারপরও বেকারত্ব দূরীকরণ (unemployment reduction) থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (health sector) উন্নয়নে বাংলা প্রভুত সাফল্য পেয়েছে।

সম্প্রতি দেশের নীতি আয়োগে বাংলার মানচিত্র (map) নিয়ে বিতর্ক হয়। বাংলার রিপোর্টের প্রচ্ছদে বিহারের মানচিত্র ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করে পত্রবোমা নিক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তোলপাড়ের মধ্যেই নীতি আয়োগ সামারি রিপোর্ট প্রকাশ করল। সেই রিপোর্টে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে (employment generation) বাংলার সরকার অগ্রগণ্য। বেকারত্ব কমানোর (unemployment reduction) ক্ষেত্রে বাংলার এই সাফল্য প্রশ্নাতীত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের রিপোর্টে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক কম। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আর তা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মশ্রী প্রকল্পের সৌজন্যে।

এখানেই শেষ নয়, নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্ট আরও জানিয়েছে যে, বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। সার্বিক উন্নয়ন ও পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও বাংলার অবস্থান দেশের গড়ের তুলনায় অনেক ভালো।

আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় ছোট-বড় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: জারি নির্দেশিকা

২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তথ্য ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার (unemployment rate) ২.২ শতাংশ। সেখানে দেশে বার্ষিক বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও বাংলা উল্লখযোগ্য ফল করেছে। এছাড়া, জনসংখ্যা, রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের বাংলা এগিয়। বিগত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রভুত উন্নয়ন করেছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কারণেই রাজ্যে শিশুমৃত্যুর (child death) হার কমেছে অনেকটাই। এবার কেন্দ্র বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের সাফল্য স্বীকার করে নিল।

–

–

–

–

–
–
–
–