১২ জুন, ২০২৫। ভারতের বিমান ইতিহাসের কালো দিন। উড়ানের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমান। মৃত্যু ২৬০ জনের। বিমানে থাকা ২৪১ জনের মধ্যে ২৪০ জনের সঙ্গে মারা যান দুর্ঘটনাস্থলে থাকা আরও ১৯ জন। কেন এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ১৫ পাতার রিপোর্ট দিল বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। আর সেখানেই সামনে এলো ককপিটে দুই পাইলটের শেষ কথোপকথন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় AI171 বিমানের ২টি ব্ল্যাক বক্স। তার মধ্যেই ছিল ককপিট (Cockpit) ভয়েস রেকর্ডার (Voice Recorder)। সেখান থেকে জানা যায়, বিমান ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ২টি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানির সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’ চলে যায়। অর্থাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তখনই এক পাইটল আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করেন,
“কেন তুমি বন্ধ (জ্বালানি) করলে?“
“আমি কিছু বন্ধ করিনি।“
উত্তর দেন অন্য পাইলট।
এই কথোপকথন থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ইঞ্জিনে তেল পৌঁছয়নি। তদন্ত-রিপোর্ট অনুযায়ী,
- রানওয়ে ছাড়ার পরেই বিমানটি যখন গতি নিয়ে নিয়েছে, ১ ও ২ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।
- ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছোচ্ছিল না।
- মুহূর্তের মধ্যে বিমানের গতি ও উচ্চতা কমতে থাকে।
- পাইলটেরা ২ জ্বালানির সুইচ ‘কাটঅফ’ থেকে ‘রান’-এ নিয়ে এসেছিলেন।
- ইঞ্জিন চালু করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন।
- ইঞ্জিন-২ সাময়িক ভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরলেও ইঞ্জিন-১ আর চালু করা যায়নি।
- পাওয়া যায়নি ‘থ্রাস্ট’।
তবে, এই তথ্য বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে,
- কীভাবে ছাড়ার পর মুহূর্তেই বন্ধ হল ডবল ইঞ্জিন
- উড়ানের আগে কি পরীক্ষা করা হয়নি
- যদি দুটি ইঞ্জিনেই জ্বালানি না আসে, তাহলে পাইলট বিমান উড়ালেন কেন
এখন এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
আরও খবর: সাতসকালে রাজধানীতে দুর্ঘটনা, ধসে গেল বহুতল! আহত একাধিক
–
–
–
–
–
–
–
–
–