জুন মাসের ১২ তারিখে গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমান টেক অফের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আছড়ে পড়েছিল সামনের মেডিক্যাল হস্টেলে (Ahmedabad Plane accident) । সফররত ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ (Plane crash survivor Vishwas Kumar Ramesh) এখনও আতঙ্ক পাঠিয়ে উঠতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পর প্রায় একমাস অতিক্রান্ত। কিন্তু ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক এখনও ঘোরের মধ্যে আছেন। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। এমনকি রাতে মাঝেমধ্যেই ঘুমের মধ্যে বারবার কেঁপে উঠছেন, জানিয়েছে পরিবার। রমেশকে সুস্থ করতে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে AAIB। তাতে দেখা গেছে ইঞ্জিনে নাকি জ্বালানি পৌঁছয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন, যদি তাই হবে তাহলে পাইলটরা বিমান ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কীভাবে? পাশাপাশি প্লেন টেক অফের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় একাধিক তত্ত্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে। যদিও রমেশ এসব থেকে অনেক দূরে। টিভিতে এই দুর্ঘটনার সংক্রান্ত কোনও খবর তাঁকে দেখাতে চাইছে না পরিবার। দুর্ঘটনার পর বিমানের ধ্বংসস্তূপের কাছ থেকে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটেই অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে দেখা গিয়েছিল রমেশকে। কী ভাবে বেঁচে গেলেন, তা নিজেও জানেন না। পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৭ জুন ছাড়া পান। এর মাঝে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রমেশ জানিয়েছিলেন, তিনি বিমানের যে দিকে বসেছিলেন, সে দিকটা হস্টেল ভবনের এক তলায় পড়েছিল। সেখানকার ভাঙা দরজা দিয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁর তুতো ভাই সানি জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনা এবং ভাইয়ের মৃত্যুর মানসিক আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি রমেশ। তাই কোনও আত্মীয়র সঙ্গে কথা বলতেও চাইছেন না। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকেন।রাতে বার বার জেগে উঠতে দেখা যায়। আপাতত তাঁর লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–