Tuesday, November 4, 2025

দুর্গাপুরে মোদির সভায় ডাক দিলীপকে, শমীকের হাত ধরে প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতির রাজনৈতিক ‘পুর্নজন্ম’!

Date:

Share post:

তাঁর আমলেই বাংলায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আসছিল বিজেপি। কিন্তু দলবদলু নেতাদের চাপে ক্রমশ কোণঠাসা হতে হতে বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) প্রায় একঘরে হতে বসেছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এমনকী, ২১ জুলাই মঞ্চে তিনি তৃণমূলের (TMC) যোগ দেবেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়। এর মধ্যে পদ্মশিবিরে ক্ষমতা বদল। রাজ্য সভাপতির ব্যাটন সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে যায় আদি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) হাতে। আর তাঁর হাত ধরেই দিলীপের রাজনৈতিক ‘পুর্নজন্ম’! ১৮ তারিখ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেলেন দিলীপ ঘোষ, এতদিন যাঁকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বঙ্গ সফরের মঞ্চে ব্রাত্য করে রেখেছিলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা।

১৮ জুলাই দুর্গাপুরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর পরেই জল্পনা শুরু হয় ওই সভায় দিলীপ ডাক পাবেন কি না! কারণ, এর আগের অনেক সভায় ডাক পাননি তিনি। এমনকী, নয়া রাজ্য সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণের দিকেও তিনি ছিলেন ব্রাত্য। তবে, পরে গিয়ে শমীকের সঙ্গে দেখা করা, শমীকের মুখে দিলীপের প্রশংসা এবং দুজনের একই সময়ে দিল্লিতে থাকা রাজ্য রাজনীতিতে অনেক সম্ভাবনার উস্কে দেয়। তবে, সব জল্পনার অবসান। সোমবারই দিলীপের কাছে পৌঁছে গেল দুর্গাপুরে মোদির সভায় আমন্ত্রণ। ১৭ জুলাই রাতেই দুর্গাপুর পৌঁছে যাবেন বিজেপি (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

এটা সেই দুর্গাপুর, গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের জেতা আসন থেকে সরিয়ে যেখানে দিলীপকে পাঠিয়েছিলেন বিজেপির দলবদলু মাতব্বরা। শেষ মুহুর্তে ২০২৪-এর লোকসভায় বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি দিলীপ। আর তার পরেই কার্যত একঘরে হয়ে পড়েন তিনি। বিধায়ক, সাংসদ সব পদ তো যায়ই, হারান সাংগঠিক পদও। এর পরে অনেক জাতীয় নেতৃত্ব বঙ্গ সফরে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের ঘিরে থাকা বৃত্তে স্থান হয়নি দিলীপে। সম্প্রতি রাজধানীতে দাঁড়িয়ে দিলীপ নিজে জানিয়েছেন, বিজেপির বৈঠকে তাঁকে চেয়ারটাও দিত না কেউ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন স্ত্রীক যান দিলীপ। কথা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গেও। তার পর থেকে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা- তৃণমূলে যাচ্ছেন দিলীপ, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই যোগদান।

সেই জল্পনায় ধাপাচাপে দিয়ে রাজ্য সভাপতি শমীকের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন দিলীপ। আর তার থেকেই বদলাতে থাকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অবস্থান। এ যেন দিলীপের রাজনৈতিক পুর্নজন্ম। যে দুর্গাপুর থেকে দিলীপকে কার্যত হারিয়ে দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের দলবদলু নেতারা। কিন্তু আদি বিজেপি শমীক আবার পাদপ্রদীপে নীচে নিয়ে এসেছেন। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছেন দিলীপই বঙ্গ বিজেপির সেরা রাজ্য সভাপতি। তাঁকে কোণঠাসা করে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে আদতে পদ্মশিবিরের ক্ষতিই করেছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। সেই অবস্থা বদলে আবার দিলীপ-ক্যারিশমাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে পালে হাওয়া টানতে চাইছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি।

spot_img

Related articles

খুব তাড়াতাড়ি আসবেন কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার উত্তরে জানান শাহরুখ

রবিবার শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিন ছিল। এদিন শাহরুখকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুভেচ্ছার এবার উত্তর...

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের নামও বাদ! এসআইআরকে ঘিরে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

এসআইআর প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার করে ভোটার তালিকা থেকে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে— এমন অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী...

Push-up-এ বাজিমাৎ! মঞ্চে সবাইকে হারালেন অভিষেক

তাঁর জিমি ওয়াক আউট করার ছবি আগেই পোস্ট করেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abishek Banerjee)।...

এসআইআর মঞ্চে ‘শহিদ বরণ’: সাত শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতা-অভিষেকের

বাংলা বিরোধী বিজেপির চক্রান্তে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের। সেই আতঙ্কে এখনও পর্যন্ত...