নিখোঁজ ত্রিপুরার ছাত্রীর দেহ অবশেষে মিলল দিল্লির গীতা কলোনির ফ্লাইওভারের নিচে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) ওই ছাত্রী। যদিও গোটা ঘটনায় অন্য কারণও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ (Delhi police)। তবে এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এলো রাজধানীর সিসিটিভি (CCTV) নজরদারির গাফিলতি।
দক্ষিণ ত্রিপুরা (Tripura) জেলার সাবরুম এলাকার বাসিন্দা স্নেহা দেবনাথ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি-র পড়ুয়া। অংকের স্নাতক পড়ুয়া ৭ জুলাই এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। শেষবার ভোর ছটা নাগাদ তাঁর সঙ্গে পরিবারের কথা হয়েছিল। এরপর সাড়ে আটটা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয় তাকে নিয়ে। ত্রিপুরায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার।
ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ খোঁজ শুরু করে ওই ছাত্রীর। যে ক্যাবে চড়েছিলেন তিনি সেই ক্যাব চালক জানান দিল্লির সিগনেচার ব্রিজের (Signature Bridge) কাছে তাকে নামিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই শুরু হয় স্নেহার খোঁজ। তবে ওই এলাকায় সিসিটিভি (CCTV) নজরদারি না থাকায় অনুসন্ধান সমস্যায় পড়ে।
টানা ছয় দিনের খোঁজাখুঁজির পর রবিবার রাতে তার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ স্নেহার ইমেল থেকে মানসিক হতাশার কথাবার্তা পায়। যদিও মৃত্যুর আসল কারণ তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কোন কারণে মানসিক অবসাদে ছিলেন ওই ছাত্রী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬৪ মিলিয়ন ডলারের মহাকাশযাত্রা শেষ, পৃথিবী ফিরছেন শুভাংশুরা
দিল্লির সিগনেচার ফ্লাইওভার এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে ওই ছাত্রীকে ব্রিজের ধারের দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন কয়েকজন। তবে সিসিটিভি নজরদারি ও পর্যাপ্ত পুলিশি দহলদারি না থাকায় মৃত্যুর আসল কারণ এখনও ধোঁয়াশাতেই রয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–