বীরভূমের পাইকোর জেলার ছয় পরিযায়ী শ্রমিককে ‘বাংলা’ বলার অপরাধে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় তথ্য গোপনের জন্য আবেদনকারীর আইনজীবীকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court)। বুধবার, দিল্লি পুলিশ(Delhi Police) ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের(Union Home Ministry) তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, ওই ছয় পরিযায়ী শ্রমিককের সঙ্গে কথা বলার পরই তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে বাংলাদেশে(Bangladesh) পাঠানো হয়েছে। এর আগে তারা দিল্লি হাইকোর্টে(Delhi High Court) মামলা করেছিলেন সেই তথ্য না জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কেন এদের বাংলাদেশে (Bangladesh) পাঠানো হল (push back) তা লিখিত আকারে রিপোর্ট দিয়ে কেন্দ্রেকে ফের জানাতে হবে আদালতে। এদিন দিল্লি পুলিশের পক্ষে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানান, দিল্লি হাইকোর্টে এর আগে এই ছ’জনের পক্ষে মামলা করা হয়। ২৪ জুন দিল্লি হাইকোর্ট তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। কারণ তারা অবৈধ অভিবাসী। এরপর ২৪ জুন তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের বিষয়টি এখানে না জানিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে “হেবিয়াস কর্পাস”(Habeas Corpus) মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেকারত্বের হার বেড়ে হাহাকার দেশজুড়ে! ফাঁস মোদির জুমলাবাজি
এহেন তথ্য গোপন করে মামলা করার জন্য মামলাকারী আমির খানের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তীকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে, তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে কি কি নথি বা প্রমানপত্র রয়েছে তা আগামী ৬ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee) বলেন, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কতজন বাঙালিকে বেআইনি ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে এবং বাংলদেশে পাঠানো হয়েছে (push back) সেই বিষয়ে তথ্য রয়েছে। এনারা প্রত্যেকে এখানে ৩০ থেকে ৩৫ বছর রয়েছেন। কেউ কেউ এখানেই জন্মেছেন। শুধু মাত্র বাংলা বলার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এটি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–