বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুক্রবার, দিল্লিতে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (J P Nadda) বাড়িতে বিকেলের বৈঠকে দিলীপকে জানানো হল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কোনও ভালো কথা বলা যাবে না। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মুখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শুনেই বিজেপির অন্দরে ভয় বাড়ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দিলীপ ঘোষ আমন্ত্রণ পান কি না, সে নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলে। শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharjee) রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে দিলীপের যে সখ্যতা দেখা গিয়েছে সেখান থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো আবার পুরনো মহিমায় ফিরতে পারেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। কিন্তু মোদির এবারও সফরে বঙ্গ বিজেপির তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে দিলীপ প্রথমে বলেছিলেন কর্মী হিসেবে তিনি যাবেন সভায়। আসলে দিলীপ গিয়ে যদি মোদির সভায় গিয়ে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বসেন, তাহলে সব আলো তিনিই টেনে নেবেন। এটা মেনে নিতে পারছেন না আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপির বঙ্গনেতারা। কিন্তু বৃহস্পতির রাতে সিদ্ধান্ত বদল। শুক্রবার সকালে এয়ারপোর্টে স্পষ্ট জানান, দল চায় না, তাই তিনি যাচ্ছেন না।

প্রথমে শোনা গিয়েছিল, মোদি যখন দুর্গাপুরে দিলীপ থাকবেন মেদিনীপুরে। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ দিল্লি যান দিলীপ। সেখান প্রথমে যান জে পি নাড্ডার বাড়ি। কিন্তু সেই সময় তাঁর সঙ্গে নাড্ডার দেখা হয়নি। ফিরে আসেন বিজেপি নেতা। ফের বিকেলে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়ি যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক দুজনের কথা হয়।

সব সময় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা দিলীপ, নাড্ডার বাড়ি থেকে বেরিয়ে জানান, “ঘণ্টাখানেক কথা হল, অনেক গল্প হয়েছে”।

আরও পড়ুন: মোদির প্রশ্নের সপাট জবাব তৃণমূলের
বিজেপি সূত্রে খবর, দিলীপকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়ে দেন, সংবাদ মাধ্যমে দল এবং দলের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। দলের নিয়ম ভাঙা যাবে না। সর্বোপরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কোনও প্রশংসা সূচক মন্তব্যও করা যাবে না। কিছুদিন আগেই দিল্লি গিয়ে দিলীপ মন্তব্য করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির মামলা নেই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে বাড়ানো অনেকের বিরুদ্ধেই কেস আছে। নাম না করলেও সেই ইঙ্গিত যে শুভেন্দু বাহিনীর বিরুদ্ধে তা স্পষ্টই বোঝা যায়। বিষয়টি নিয়ে তুমুল অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে নাড্ডার কাছে নালিশ করে দিলীপকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা শুভেন্দু-সুকান্তদের।

–

–

–

–

–

–

–
–