কে কী খাবে, কে কী পড়বে- তা নিয়ে কোনও ফতোয়া জারিতে রাজি নন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সিঙারা, জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ নিয়েও তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার, বেনজির ভাবে কেন্দ্রের ফতোয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠকেই সিঙাড়া-জিলিপি-ফিশফ্রাই (Singara-Fishfry-Jilipi) নিয়ে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সকালে সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজাও সিঙাড়া-জিলিপি নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক নয়া ফরমান জারি হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এইধরনের খাবারে কতটা ফ্যাট, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট লিখে দিতে হবে স্পষ্ট করে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছে। নাগপুরে AIM’S-এ ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা মেনে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের নির্দেশিকাকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “কে কী খাবে তা ঠিক করে দিতে পারে না কেউ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য মনে করে সিঙাড়া, ফিস ফ্রাই, জিলিপির মতো খাদ্যের গুণগত মান যদি ঠিক থাকে তবে খেতে আপত্তি কোথায়? বহু জায়গায় মাছ-মাংস-ডিম খেতে দিচ্ছে না। কেউ কেউ নিরামিষ খান, কেউ আমিষ। গণতান্ত্রিক দেশে কে কী খাবে তা তার নিজস্ব। খাদ্য তালিকায় ফিস ফ্রাই থাকবে, শিঙাড়া থাকবে, জিলিপি থাকবে। খাদ্যে বিধিনিষেধ আমরা মানব না। মাছ-মিষ্টি অ্যান্ড মোর বাংলায় ছিল, আছে, থাকবে এবং চলবে। আমরা কোনওভাবেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের পক্ষে নই।”

কেন্দ্রের ফতোয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠকেই সিঙাড়া-জিলিপি-ফিশফ্রাই (Singara-Fishfry-Jilipi) নিয়ে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও খবর: বাংলায় এসে বাঙালিদের অসম্মানে নীরব মোদি! ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবেন, প্রশ্ন তৃণমূলের

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–