সম্প্রতি বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের তথ্য জানিয়েছে, সেখানে নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমারের বাসিন্দাদের অস্তিত্বের কথা। এর পরেও বিহারে গিয়ে অনুপ্রবেশ (infiltration) ইস্যুতে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অথচ বাংলায় এসে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে শান দিলেন মোদি। বিষয়টিকে নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মঘাতী গোল’ (same side goal) বলে দাবি তৃণমূলের।

বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এটা বাংলা ও দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। তৃণমূল সরকার অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে। সংবিধানের কথা তুলে ধরে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে তৃণমূলকে বেঁধার চেষ্টা চালান তিনি।

তবে এই বক্তব্য পেশ করে যে নরেন্দ্র মোদী নিজেই নিজের গোলে বল ঢুকিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট দাবি করেন, আত্মঘাতী গোল (same side goal) করেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী, যাঁর দায়িত্ব দেশকে নিরাপত্তা দেওয়া, যাঁর দায়িত্ব দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা, সেই প্রধানমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ (infiltration)। হচ্ছে কি করে?

সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ব্যর্থতা স্পষ্ট করে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সীমান্তের দায়িত্বে কোনও রাজ্য সরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী আপনি আগে শো-কজ করুন অমিত শাহকে (Amit Shah)। তাঁর অধীনে বিএসএফ (BSF)। ঢুকছে কি করে অনুপ্রবেশকারী?

আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে ভয়াবহ আগুন! দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ব্যাহত যান চলাচল
শুক্রবারই বাংলায় সভা করার আগে বিহারে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেখানে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কোন বক্তব্য পেশ না করায় তৃণমূলের প্রশ্ন, বাংলায় এসে অনুপ্রবেশকারী বলছেন। ত্রিপুরায় গিয়ে কেন বলছেন না? ওখান থেকে রোহিঙ্গারা ধরা পড়ছে। আপনি অসমে গিয়ে কেন বলছেন না? আপনি বিহারে গিয়ে কেন বললেন না? জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) বলছে নেপাল থেকে ঢুকে আসছে বিহারে (Bihar)। তাই অনুপ্রবেশকারী যতবার বলেছেন ততবার প্রধানমন্ত্রী, যাঁর দায়িত্ব দেশ রক্ষা করার তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, সেটা প্রমাণিত।

–

–

–
–
–

–

–
–