সন্দেশখালির(Sandeskhali) ধামাখালি(Dhamakhali) ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ কোটি টাকার জাল নোট। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিরাজউদ্দিন মোল্লা ও দেবব্রত চক্রবর্তী নামে দুই ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সিরাজউদ্দিন মোল্লা জীবনতলা, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা এবং দেবেশ চক্রবর্তী মহেশতলার বাসিন্দা। ওই দুই ব্যক্তি স্থানীয় একটি দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে তাদের দেওয়া টাকা জাল বলে সন্দেহ হয় দোকানদারের। এরপরেই পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাড়াও নেপালি মুদ্রা, পাঞ্চিং মেশিন(Punching machine) এবং কিছু আসল টাকাও উদ্ধার হয়েছে। সিরাজউদ্দিনের কাছ থেকে দুটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে বলেও জানা গিয়েছে। ওই আধার কার্ড নিয়েও তদন্ত চলছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ছক কষছিল এই দুই ব্যক্তি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও একটি বৃহৎ চক্র। এই চক্রের শাখা-প্রশাখা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী দল।

প্রসঙ্গত, ধামাখালি থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে সহজেই কলকাতা পৌঁছনো যায়, এবং নদীপথে বাংলাদেশের সীমানাও মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিমি দূরে। পুলিশের সন্দেহ, ধৃতদের পরিকল্পনায় বাংলাদেশে পালানোর ছকও থাকতে পারে। এছাড়াও তারা স্থানীয় কারও সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর জাল নোট কাণ্ডের মূলচক্র উদঘাটনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।ধৃতদের শনিবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয় এবং পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

আরও পড়ুন – বাংলায় ভক্তির নাটক, অসমের কালী মন্দির ভাঙার নির্দেশ বিজেপির! কটাক্ষ তৃণমূলের

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_