গত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতের প্রান্তে কেরলের উপকূলের ৩৬ দ্বীপপুঞ্জ। এবার তারই একটি দ্বীপে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়তে চলেছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যে বিত্রা নামের দ্বীপটিতে জারি হয়েছে এই বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি।

৩৬টি ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ। এর মধ্যে মাত্র ১০টি দ্বীপ মানুষের বসবাসের যোগ্য। তারই একটি হল এই বিত্রা। সেখানে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত তথা কূটনৈতিক শক্তি বাড়াতে চাইছে ভারত। এই দ্বীপের অবস্থান এবং জাতীয় নিরাপত্তায় তার প্রাসঙ্গিকতার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিত্রায় মোট ১০৫টি পরিবারের বাস। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজস্ব দফতর গত ১১ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

লাক্ষাদ্বীপের অদূরেই রয়েছে মলদ্বীপ। যেখান ইদানীংকালে চিনের হাত প্রসারিত হচ্ছে। অপরপক্ষে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাতে রাজি নয়। এই অবস্থায় লাক্ষাদ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গড়ে নজরদারি চালাতে চাইছে সাউথ ব্লক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাক্ষাদ্বীপে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়তে পারলে তা ভারতের পক্ষে বিশেষ সুবিধাজনক হবে। আরব সাগরে নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে এর ফলে। যদিও কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিত্রা দ্বীপের স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত দ্বীপটিতে পথে নেমেছে কংগ্রেস। লাক্ষাদ্বীপের কংগ্রেস সাংসদ হামদুল্লা সইদ দাবি করেছেন, এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই অসন্তোষ ডিঙিয়ে কীভাবে প্রতিরক্ষা গড়ে উঠবে তা এক প্রশ্ন?

আরও পড়ুন – শাড়িতে উল্টো রামচন্দ্র! অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে বেজায় ফ্যাসাদে অগ্নিমিত্রা

_

_

_
_
_

_
_
_
_
_
_