পাটনার পারস হাসপাতালের ICU-তে ঢুকে ২০৯ নম্বর কেবিনে থাকা কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুনের ঘটনায় এবার আনন্দপুর (Anandapur) এলাকা থেকে শনিবার রাতে ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police Special Task Force)। ঐদিন (১৯ জুলাই) ভোরেই পাটনা পুলিশ (Patna Police) এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) যৌথ ভাবে হানা দিয়েছিল নিউটাউনের ‘সুখবৃষ্টি’ নামক একটি আবাসনে। সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এরপর সিসিটিভির ফুটেজে পাওয়া পাটনার দুষ্কৃতীদের একটি সাদা রঙের গাড়ির সূত্র ধরে শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৫ জনকে আটক করে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর পাটনার হাসপাতাল থেকে খুনিরা একটি সাদা রঙের গাড়ি করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিলেও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের একটি টোল প্লাজার সিসিটিভির (CCTV) ফুটেজে ওই গাড়িটির ছবি ধরা পড়ে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখিয়ে জানতে পারে যে গাড়িটি পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের একটি নামী বহুতল আবাসনে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ওই আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে কিছু মেলেনি। এরপর গোয়েন্দারা জানতে পারেন চারচাকা গাড়ি আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউসে গেছে। সেই সূত্র ধরেই গেস্টহাউস থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন হরিশ সি, ইউনিস খান ও তৌসিফ ওরফে তৌফিক। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের এক কর্তা আগেই জানিয়েছিলেন হাসপাতালে গুলি কাণ্ডে এই গ্যাংয়ের লিডার তৌসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার কলকাতা থেকেও আরও তৌসিফকে আটক করা হল। তাহলে গ্যাং লিডার আসলে কোন তৌসিফ? পুলিশের তরফে অবশ্য এই নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–