একুশের মঞ্চে ছাব্বিশের রোড ম্যাপ তৈরি করতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কী বার্তা দেন তা জানতে ধর্মতলার সভামঞ্চের কাছে রেকর্ড ভিড় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। সকাল এগারোটার কিছু সময় পরে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলির মঞ্চে শুরু হয় প্রারম্ভিক পর্বের অনুষ্ঠান। ততক্ষণে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বর্ণাঢ্য মিছিল। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে সুশৃংখলভাবে সকাল থেকে নানা ভাষা নানা ধর্ম নানা জাতির মানুষ মিছিল করে পৌঁছে গেছেন একুশের সভাপ্রাঙ্গণের কাছাকাছি। কেউ এসেছেন নদিয়া থেকে হাতে জগন্নাথ নিয়ে, কেউ আবার ঘাটাল থেকে এসেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রতীকী মাথায় নিয়ে। কেউ সেজেছেন রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ কিংবা রবীন্দ্রনাথ। ঢাকের বাদ্যি- ধামসা মাদলে বর্ণাঢ্য মেজাজ ধর্মতলায়।
শহরের প্রাণকেন্দ্র জুড়ে শুধুই ঘাসফুলের কর্মী সমর্থকদের ভিড়। একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলে উপস্থিত থাকতে গত দু-তিন দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শহরে আসতে শুরু করেন। রবিবার মধ্যরাত থেকে অনেকেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে পৌঁছে গেছিলেন। সোমবার সকাল হতে না হতেই কাতারে তাড়াতাড়ি মানুষের ভিড়। এদিন রোদের তীব্র তেজকে অগ্রাহ্য করে গলায় তৃণমূলের স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে করে একুশের আবেগে রঙিন ঘাসফুলের কর্মী সমর্থকরা। ঢাকের তালে আগমনীর বাদ্যি শোনালেন মহিলা ঢাকীরা, কোথাও আবার মা দুর্গা সাজে দলের সুপ্রিমোর নামে জয়ধ্বনি দিতে দেখা গেল তৃণমূলের মহিলা সমর্থকদের। কেউ সঙ্গে এনেছেন দিঘার জগন্নাথ ধামের (Digha Jagannath Temple) মডেল, কেউ বা আবার এনআরসির প্রতিবাদের সোচ্চার হয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন নিজেদের সাজপোশাকে। এবারের একুশের মিছিলে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর দাবিও লক্ষ্য করা গেল।
সব মিলিয়ে আবেগের একুশে জুলাইয়ে ধর্মতলার শ্রদ্ধাঞ্জলি মঞ্চে একদিকে শহিদ তর্পণ অন্যদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের রোড ম্যাপের দিক নির্দেশ করতে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছে যাবেন মমতা- অভিষেক।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–