সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই সব পথ মিশেছে আজ একুশের পথে। ভোর থেকেই তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকরা পায়ে পায়ে রওনা দিয়েছেন শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানস্থলের দিকে। কারোর হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জন্মমুখী প্ল্যাকার্ড, মুখোশ, কেউ আবার নিজেকে রাঙিয়েছেন তৃণমূলীয় রঙে। কেউ এসেছেন সাইকেল নিয়ে কেউবা হুইল চেয়ার নিয়ে প্রিয় নেত্রীর বার্তা শুনতে হাজির ধর্মতলায়।সকাল ছটা থেকে যেভাবে হাওড়া- শিয়ালদহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ধর্মতলার দিকে যেতে শুরু করেছেন তাতে মনে করা হচ্ছে অনুষ্ঠান শুরুর বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ঘিরে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে ভিক্টোরিয়া হাউস চত্বর। আদালতের নির্দেশ মেনে সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণে তৎপর পুলিশ (Kolkata Police)। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন ট্র্যাফিক জনিত কোনও সমস্যা নেই। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে সবটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে রাস্তায় বাস অন্যান্য দিনের থেকে খানিকটা কম থাকায় বেলা বাড়লে অফিস যাত্রীদের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার একুশে জুলাই উপলক্ষে সকাল থেকে রাজ্যের সব জেলার রাস্তায় রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দেখা মিলেছে। আজ আবার শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার, ফলে কলকাতা-হাওড়া- হুগলিতে তারকেশ্বরযাত্রীদের ভিড়ও রয়েছে। ইতিমধ্যেই নদিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি থেকে ট্রেনে- বাসে করে তৃণমূল সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন। শহর কলকাতায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে নির্ধারিত বাস এবং গাড়ি করে ঘাসফুলের সমর্থকরা সভাস্থলের দিকে পৌঁছে যাচ্ছেন। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা কলকাতায় আসছেন।এমনকি, রাত ১২টা-১টা থেকে অনেকে ধর্মতলার মঞ্চের কাছে বসে আছেন। লালবাজারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী একুশে জুলাই ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেশ কিছু রাস্তায় যাত্রিবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–