একুশে জুলাই (21st July TMC program) ধর্মতলার মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে হাজির টলিউডের একঝাঁক তারকা। দিদির ডাকে স্কটল্যান্ড থেকে তড়িঘড়ি সোমবার সকালে কলকাতায় ফিরেছেন দেব (Dev)। সমাবেশে যোগ দিলেন কালো পোশাকে। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ মিস করেননি পরিচালক- বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakroborty)।

এবছর বছর ঘাসফুলের ঘরে ফিরলেন বাংলা বিনোদন জগতের দুই কন্যা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র। বেলা ১২টার আগেই ধর্মতলা চত্বরে হাজির তৃণমূলের হুগলির সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) । পরনে সবুজ ফুলের কাজ করা ছাইরঙা শাড়ি। অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় ‘দিদি’র (Mamata Banerjee) আসার। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একুশের মঞ্চে ওঠার আগে বাংলা ও বাঙালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিনেত্রী। দেশ জুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যে হেনস্থার অভিযোগ উঠছে তার প্রতিবাদ করে অকুতোভয় রচনা বলেন, “একটা মানুষ বাংলায় কথা বলছেন বলে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! আমিও বাংলায় কথা বলি! ধরে নিয়ে যান আমাকে। আমি বলব, বাঙালি এর উত্তর দেবে।’’ অভিনেত্রী সাংসদ সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) বলেন, ২০২৬-এর পর বিজেপিকে আর বাংলায় দেখাই যাবে না।

এবছর একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra)। তিনি জানান, অনেকদিন পর ঘরে ফিরে ভালো লাগছে। বিনোদন জগত বরাবরই তার ‘প্রিয় দিদি’র পাশে থেকেছে। এদিন সভামঞ্চে দেখা যায় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে (Srabanti Chatterjee)। গত বছর তিনি ছিলেন বিরোধী শিবিরে। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে ফিরলেন ঘাসফুলে। আজকের মঞ্চে ছিলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu), লাভলী মৈত্র, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee), দেবলীনা কুমার, তৃণা সাহা (Trina Saha), রনিতা দাস (Ranita Das), রিমঝিম মিত্র, সোমা চক্রবর্তী, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়, তিয়াশা লেপচা,অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, ভরত কল,দিগন্ত বাগচী, সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সৌপ্তিক, রিজওয়ান, অভিনেত্রী-প্রযোজক, রাজনীতিবিদ পিয়া সেনগুপ্ত, পরিচালক অরিন্দম শীল (Arindam Sil), হরনাথ চক্রবর্তীদের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন গায়ক সৌমিত্র রায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু রায়চৌধুরী, নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)।

এদিনের সভায় হালকা সি-গ্রিন রঙের পাঞ্জাবীতে একদিকে যেমন নজর করেছেন দলের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা, পাশাপাশি সমানভাবে উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেছে রুপোলি পর্দার তারকাদের। রবিবার (২০ জুলাই) টলিপাড়ার একাধিক তারকা জানিয়েছিলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও তাঁরা নন্দনে জড়ো হবেন। সেখান থেকে বাসে চড়ে আসবেন ধর্মতলায়। ঠিক তেমনটাই হল।

শহিদ মঞ্চের অনুষ্ঠানে (Shahid Dibas) যাওয়ার জন্য অধিকাংশ অভিনেতা সাদা পোশাক বেছে নিয়েছিলেন। কালো পোশাক পরেন অরিন্দম শীল -সোমা চক্রবর্তীরা। লাভলি, রণিতা-সহ কয়েক জন কেউ সবুজ, কেউ প্যাস্টেলরঙা পোশাকে স্নিগ্ধ।সৌমিতৃষা বললেন, “দিদি যখনই ডেকেছেন উপস্থিত থেকেছি। শরীর খারাপ নিয়েই এসেছি। ব্যাগে ওষুধ রয়েছে।” সুখেন দাস-কন্যার কথায়, “প্রত্যেক বারের ২১ জুলাই আমাদের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর আরও বেশি। আমরা মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে। তাঁদের নির্দেশের অপেক্ষায়।”সুভদ্রার দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে বাংলা বিনোদন দুনিয়া যা পেয়েছে তা এক কথায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। সেই টানেই প্রত্যেক বছর প্রত্যেকে এই সমাবেশে যোগ দেওয়া। এদিন মমতার ডাকে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্রীড়া জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বরাও।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–