পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঘটনায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক যিনি প্রথম ময়নাতদন্ত (Postmortem) করেন, তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এতদিন পর দেহে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। হিস্টোপ্যাথলজিকাল (Histopathological) পরীক্ষার পর দেহে আর কিছু থাকে না বললেই চলে।” তিনি আরও জানান, পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃতদেহগুলি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে থানায় আনা হয়েছিল, তবে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য অনুযায়ী, তারা মারধরের কারণে মারা গিয়েছেন। এই দুই তথ্যই আদালতের নজরে এসেছে।
অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) কিশোর দত্ত আদালতে জানান, ঘটনার সময় ওই ব্যক্তিরা নাচের অনুষ্ঠানে টাকা ওড়াচ্ছিলেন, যা সাময়িকভাবে বসানো বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ঘটনার একটি ভিডিওগ্রাফি রয়েছে বলেও আদালতে জানান তিনি। তবে, নিহতদের পরিবারের তরফের আইনজীবী জানান, এটি “পরবর্তী সময়ে তোলা ভিডিও” এবং আরও উল্লেখ করেন যে, মৃতদেহে রেল লাইনের চিহ্ন ছিল। যা প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখই করা হয়নি।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মৃতদের পরিবার যে অভিযোগ এনেছে, তার ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে জবাব দিতে হবে এবং সেই রিপোর্ট পরবর্তী শুনানির আগে আদালতে জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই।
–
–
–
–
–
–
–
–