অমিত শাহের জোরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা সিএএ (CAA) নিয়ম এবার ভাঙতে চলেছে ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। কেন্দ্রের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশী নাগরিকদের জমির দখলদারি দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। একদিকে নিজের বানানো নিয়মে বাংলাভাষীদের উৎখাত করার নতুন চক্রান্ত ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh)। অন্যদিকে যোগীই স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য, কোন পথে বাঙালিদের নাগরিকত্ব বাতিল করার পথে হাঁটবে মোদি সরকার।
উত্তরপ্রদেশ সরকার সোমবারই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৯৭৫ সালের আগে যারা বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের জমির দখলদারি দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়ায় সব বাধা সরানোর কাজ শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রাজ্যের মূলত পিলিভিট, রামপুর, বিজনোর, লখিমপুর খেরি জেলায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে এই স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা।
সেখানেই স্পষ্ট, রাজ্যের বাকি বাংলাভাষীদের রাজ্যে না থাকতে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করল যোগী সরকার। নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে এপিক কার্ড ও আধার কার্ডকে গ্রাহ্য করতে ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ১৯৭৫ সালের পর থেকে যারা উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বাঙালি বাসিন্দা হয়েছেন, তাঁদের ছেঁটে ফেলার কাজ সহজ হবে যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসনের পক্ষে।
যদিও আধিকারিকদের একাংশেরই দাবি, কারা ১৯৭৫ সালের পরে উত্তরপ্রদেশের মূলত ওই চার জেলার বাসিন্দা হয়েছেন, তা খুঁজে পাওয়া খড়ের গাদায় সূঁচ খোজার মতো কঠিন হবে। সেই সঙ্গে ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫-এর মধ্যে যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা উত্তরপ্রদেশে বসতি গড়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
তবে সবথেকে বড় সংশয় তৈরি হয়েছে, এই নিয়ম বলবৎ হলে কীভাবে মানা হবে সিএএ (CAA) নিয়ম। প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্য ২০২৪ সালকে নির্দিষ্ট করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও বিতর্কিত সিএএ আইন পাশ হয়েছে সংসদে। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ বাংলাদেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সময়সীমা আরও কমিয়ে ১৯৭৫ সাল করেছেন।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক সমস্যায় আটকে পড়া বিমান উড়ল: ঘরে ফিরছে F35B
সেক্ষেত্রে তাঁর এই সিদ্ধান্তে কী কেন্দ্রের মোদি সরকারের সায় রয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ডবল ইঞ্জিন সরকারের মন্ত্রিসভা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অথচ নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর মন্ত্রিসভা তা জানেন না, এমনটা হওয়ার নয়। অর্থাৎ মোদি সরকারের সহমতিতেই নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। সেখানেই স্পষ্ট এবার বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা নাগরিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরতে নতুন পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও তার ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলি।
–
–
–
–
–
–
–