বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে কি না, তা জানতে চাইলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (AG) স্পিকারের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চের। এই মামলার শুনানিতে অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha) বলেন, যদি রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় নিরাপত্তা রক্ষীদের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তাহলে বৈষম্যের কোনো প্রশ্নই ওঠে না, এবং সে ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে, এই মামলায় এজি কিশোর দত্ত (Kishor Dutta) জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিধানসভার তরফে প্রকাশিত এক বুলেটিনে স্পষ্ট জানানো হয় যে, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কোনো নিরাপত্তা রক্ষীকেই বিধানসভা ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও, এই মামলার আবেদনকারী তথা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য রাজ্যের ওই দাবি খণ্ডন করে বলেন, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে আসা রাজ্য স্তরের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিধানসভা লবিতে নিরস্ত্র অবস্থায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বাইরে আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি আদালতের কাছে আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের গেট ২ ও ৩-এর মাঝে ফুটপাথে অস্থায়ী ছাউনি বসিয়ে সেখানে অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকী, ২০২৫ সালের ১২ মার্চ বিধানসভার ডেপুটি সেক্রেটারির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, স্পিকারের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের বিধানসভা ভবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সিনহা (Amrita Sinha) রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দেন, ৬ মে, ২০২১ সালের নির্দেশনা এখনও কার্যকর রয়েছে কি না, তা নিয়ে বিধানসভার ডেপুটি সেক্রেটারির থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা নিয়ে আদালতকে জানাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির ২৮ জুলাই।
আরও খবর: কী হয়েছিল বেলা ১টা থেকে ৪.৩০টের মধ্যে: ধনকড়ের পদত্যাগে বিস্মিত বিরোধীরা
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–